স্টাফ রিপোর্টার: ভারতীয় বোর্ড নির্বাচনের (BCCI Election) ভাগ্য কী? সিএবি-সহ বাদবাকি রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার নির্বাচনী ভাগ্যও বা কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে? দেখতে গেলে, আইন অনুযায়ী আর ঠিক এক মাস। বোর্ড এবং রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তার ঠিক এক মাস আগে দাঁড়িয়ে নিশ্চিত করে বলার উপায় নেই যে, বোর্ড-সহ বিভিন্ন রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার নির্বাচন আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হয়ে যাচ্ছে। আবার এটাও বলার জায়গা নেই, সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনও ভাবেই নির্বাচন হবে না।
আসলে পুরোটাই নির্ভর করে আছে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ভারতীয় বোর্ড মামলার কী ভাগ্য দাঁড়ায়, তার উপর। বোর্ড পদাধিকারীদের ‘কুলিং অফ’ ‘মডিফিকেশন’ নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন পেশ করেছে ভারতীয় বোর্ড (BCCI)। যেখানে বোর্ড প্রশাসনের মেয়াদ আর রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার মেয়াদ আলাদা করে ধরে ‘কুলিং অফ’ ধার্য করার আবেদন করা হয়েছে। মামলার শুনানি হবে এখন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে। লোধা সংস্কার অনুযায়ী নতুন ভারতীয় বোর্ডের গঠনতন্ত্র অনুমোদন করেছিল বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) বেঞ্চই। এবং সর্বোচ্চ আদালত রায় না আসা পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে সবাই ‘ধীরে চলো’ নীতি নিচ্ছে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: ‘সিসোদিয়ার বাড়িতে তল্লাশির পরে আমাদের ভোট বেড়েছে’, আস্থা ভোটে জিতে হুঙ্কার কেজরির]
সূত্র মারফত জানা গেল, কোনও রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাই নাকি আপাতত নির্বাচন করতে চাইছে না। আসলে আদালত রায় এলে বোর্ডে যা হবে, রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাতেও তাই হবে। তাই সব দেখে নিয়ে এগনোই ঠিক হবে বলে নাকি মনে করা হচ্ছে। মাঝে মুম্বই ক্রিকেট সংস্থা জানিয়েছিল যে, সেপ্টেম্বর শেষে তারা নির্বাচন করে ফেলবে। কিন্তু যা শোনা যাচ্ছে, তাতে আগামী দিন কয়েকে তারাও সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে এখনও পর্যন্ত শুনানির দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। কিন্তু ওয়াকিবহাল মহল আশা করছে, আগামী দিন কয়েকে কিছু একটা হয়ে যেতে পারে। বলা হচ্ছে, আগামী দিন দশ-পনেরোর মধ্যে যদি একটা সুনির্দিষ্ট আদালত-রায় পাওয়া যায়, তা হলে কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে ক্ষতি কী? আইন অনুযায়ী, নির্বাচন ডাকতে গেলে একুশ দিন আগে নোটিশ জারি করতে হয়। কিন্তু পালটা কেউ কেউ বলছেন যে, একুশ দিনের নোটিস জারি করতেই হবে তার কোনও মানে নেই। গত বোর্ড নির্বাচনের সময়ও একুশ দিনের নোটিস জারি করার ব্যাপার ছিল না। আর তা ছাড়া, নির্বাচন সবাই করতে চায়। শুধু চূড়ান্ত পরিস্থিতি দেখে নিয়ে। আর ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এখনও অসম্ভব নয়।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনেও কারচুপির আশঙ্কা, ভোটার তালিকা চাইল বিক্ষুব্ধরা]
সিএবি (CAB), তারা কী করবে? খবর যা, এখনই কিছু না হলেও, হয় সেপ্টেম্বর শেষ বা অক্টোবরের মধ্যে নির্বাচন হয়ে যাবে। তবে সিএবি-র কোনও কোনও সদস্য নির্বাচন নিয়ে খুঁটিনাটি জানতে চেয়ে আগামী দু’একদিনে শাসক গোষ্ঠীকে চিঠি দিতে পারেন বলে খবর। আপাতত সিএবি কর্তারা একে একে সব কিছু করতে চাইছেন। যেমন সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে সিএবির বার্ষিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে।