সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জমি, ভেড়ি দখল। নারী নির্যাতন। একের পর এক নালিশের পাহাড়। গত ৫২ দিন ধরে শিরোনামে সন্দেশখালি। গ্রামবাসীদের ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে গ্রামের পর গ্রাম। অশান্তি নিয়ে ফের মুখ খুললেন তারকা সাংসদ নুসরত জাহান। “রাজনীতি বন্ধ করুন”, X হ্যান্ডলে ক্ষোভ উগরে দিয়ে দাবি তাঁর।
X হ্যান্ডলে নুসরত লেখেন, “একজন মহিলা এবং জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমি সবসময় আমার দলের নির্দেশিকা মেনেই চলি। এবং জনসেবা করারই চেষ্টা করি। সন্দেশখালিতে ইতিমধ্যে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী সাহায্যের হাত বাড়ি দিয়েছেন। সাধারণ মানুষের স্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনাও করা হয়েছে। আমরা কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নই। সুসময় কিংবা দুঃসময়, আমি আমার সংসদীয় এলাকার মানুষদের সঙ্গে আছি। আমি বিশ্বাস করি রাজ্য সরকার এবং প্রশাসনের উপর সকলের বিশ্বাস রয়েছে। যেটা ভুল তার নিন্দা অবশ্যই করুন। তবে আমাদের একে অপরকে নিশানা করা ঠিক নয়। আসুন সকলে মিলে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা করি। শান্তি ফেরানো এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। বাকি কে কি বলল কিছু যায় আসে না। আমি আগেও বলেছি, আবার বলছি রাজনীতি করবেন না।”
[আরও পড়ুন: সম্প্রীতি উড়ালপুলের গার্ডরেলে বেপরোয়া বাইকের ধাক্কা, মৃত ২]
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের খোঁজে সন্দেশখালিতে হানা দেয় ইডি। তৃণমূল নেতার দেখা মেলেনি। বাড়িতে তল্লাশিও করতে পারেননি আধিকারিকরা। হামলার শিকার হন তাঁরা। অভিযোগ, শাহজাহানের নির্দেশেই হামলার শিকার হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তার পর থেকেই ফাঁকা সাম্রাজ্য। ‘ফেরার’ তৃণমূল নেতা। তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তারির দাবিতে ফুঁসছেন গ্রামবাসীরা। ক্ষোভের আগুন দফায় দফায় জ্বলছে সন্দেশখালির একের পর এক গ্রাম। তা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।
অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে সন্দেশখালিমুখী সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি প্রতিনিধি দল। যদিও পুলিশি বাধায় কেউই গ্রামে ঢুকতে পারেননি। তবে বেড়মজুর গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বসুরা। তা সত্ত্বেও গ্রামে দেখা মেলেনি বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহানের। এত অশান্তির পরেও সাংসদ কোথায়, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্নও উঠতে শুরু করে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি নীরবতা ভেঙে সন্দেশখালি কাণ্ডে মুখ খোলেন নুসরত। তার ঠিক ১৩ দিনের মাথায় আবারও সন্দেশখালি ইস্যুতে X হ্যান্ডলে পোস্ট তারকা সাংসদের।