সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছর ঘুরে যায়। কিন্তু কোটায় (Kota) পড়ুয়াদের হতাশা কমে না। ২০২৪ শুরু হতেই আবারও আত্মঘাতী হলেন এক পড়ুয়া। জানা গিয়েছে, জয়েন্ট পরীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মনের মত ফল না হওয়ায় হস্টেলের ঘরেই আত্মঘাতী হন ওই পড়ুয়া। চলতি বছরে এই নিয়ে চতুর্থবার কোটা থেকে পড়ুয়ার আত্মঘাতী হওয়ার খবর মিলল।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম শুভ চৌধুরি। ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা শুভ গত দু বছর ধরে কোটায় থেকে পড়াশোনা করছিলেন। আশা ছিল, আইআইটি কলেজে ভর্তি হবেন। সেই জন্য হস্টেলে থেকে টানা দুবছর পড়াশোনা করেন। কলেজে ভর্তির জন্য জয়েন্ট প্রবেশিকা পরীক্ষাও দিয়েছিলেন। সোমবার জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফলপ্রকাশ হয়।
[আরও পড়ুন: আধার জটে অসমে ‘বঞ্চিত’ লক্ষ লক্ষ মানুষ, পাচ্ছেন না রেশনও, মেনে নিলেন হিমন্ত]
কিন্তু রেজাল্ট দেখেই মন ভেঙে যায় ওই পড়ুয়ার। যতটা আশা করেছিলেন, তেমন ভালো ফল করতে পারেননি জয়েন্ট এন্ট্রান্সে। হস্টেলে ফিরে যান। তার পরেই সিলিং থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। আপাতত শুভর ঘর থেকে সুইসাইড নোট খুঁজছে পুলিশ। শুভর পরিবার কোটায় পৌঁছলে তাঁর ময়না তদন্ত হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে কোটায় ২৯ জন পড়ুয়া আত্মঘাতী হয়েছিলেন। চলতি বছরের ৪৫ দিনের মধ্যেই ৪ জনের আত্মহত্যার খবর মিলেছে। বারবার প্রশ্ন উঠছে, প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রশিক্ষণ দেওয়ার সেরা ঠিকানা কোটা কেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হচ্ছে? আঙুল উঠেছে কোটার কোচিং সেন্টারগুলোর দিকে। তবে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এইভাবে পর পর পড়ুয়াদের আত্মহত্যার জন্য কোচিং সেন্টারগুলিকে দায়ী করা যায় না। এর দায় প্রয়াত পড়ুয়াদের অভিভাবকদেরই। তাঁদের প্রবল চাপ সহ্য করতে না পেরেই জীবন শেষ করে দেওয়ার পথে হাঁটছেন পড়ুয়ারা।