দেব গোস্বামী, বোলপুর: একের পর এক পড়ুয়ার মৃত্যুতে উত্তাল রাজ্য। আর ঠিক সেই সময়েই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক ছাত্রীর। নার্সিং পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বীরভূমের শান্তিনিকেতনে। পরিবারের দাবি, মৃত্যুর পিছনে রহস্য় রয়েছে। তদন্তের দাবি জানিয়েছে তারা। যদিও হস্টেল কর্তৃপক্ষের দাবি, রাতের খাবার খাওয়ার পরই মাটিতে পড়ে গিয়ে মুখ থেকে লালা বের হতে শুরু করেছিল ওই ছাত্রীর। মৃত্য়ুর কারণ ঘিরে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে।
মৃত ছাত্রীর নাম স্নেহা দত্ত। তিনি নার্সিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। রবিবার রাত বারোটা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলেই থাকতেন স্নেহা। কর্তৃপক্ষের দাবি, রবিবার রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর হঠাৎ করেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পরই মাথা ঘুরে মাটিতে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্বাস্থ্যপরীক্ষায় জোর, ছুটির দিনে নবান্নের বৈঠকে ৪ জেলাকে সতর্ক করা হল]
যদিও মৃত ছাত্রীর বাবার দাবি, প্রথমে জানানো হয় মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রাত বারোটা নাগাদ সেখান থেকে জানানো হয় মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। আর এখানে একটা প্রশ্ন উঠছে, নিজস্ব বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা না করিয়ে কেন অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হল?
পরিবার মেয়ের এই অস্বাভাবিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না। তাঁদের প্রশ্ন, হঠাৎ করে কীভাবে মৃত্যু হতে পারে? ছাত্রীর দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। এর মধ্যেই ছাত্রীর পরিবার দারস্থ হয়েছে বোলপুর পুলিশের। তাঁরা লিখিতভাবে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন যে ময়নাতদন্তের পুরো ভিডিও রেকর্ডিং করতে হবে।
[আরও পড়ুন: ডেঙ্গু রোধই চ্যালেঞ্জ, পরিত্যক্ত কৃষ্ণা গ্লাস ফ্যাক্টরিতে মশার লার্ভা নিধনে ড্রোন ওড়াল পুরসভা]
যদিও মৃতের বাবা চিন্ময় দত্তের কথায়, “আমরা ভেঙে পড়েছি সেই কারণে আমরা লিখিত অভিযোগ দিতে পারব না। তবে আমরা চাই এই ঘটনাই তদন্ত হোক। মৃত্যুর আধঘন্টা আগেই মায়ের সঙ্গে কথা হয় সেই সময় কোনও কিছু অস্বাভাবিক মনে হয়নি। প্রথমে আমাদের মেয়ের রুম মেটরা জানায় পরে আমাদের কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানায়।” যদিও এবিষয়ে শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, হস্টেলে স্বাভাবিক অবস্থায় খাওয়াদাওয়া করার পরই পড়ে যায় এবং মুখ দিয়ে লালা বের হতে থাকে। এরপরই স্বাভাবিকভাবেই মৃত্যু হয়েছে।