রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: দুই ছাত্রকে মারধর করার প্রতিবাদে শিক্ষকদের আটকে রেখে প্রথমে কৃষ্ণনগর করিমপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ। পরে স্কুলের মূল ফটক আটকে বিক্ষোভ দেখায় স্কুলের পড়ুয়ারা। ঘটনা তেহট্ট থানার দেবনাথপুর শরৎ সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের। ঘটনাস্থলে তেহট্ট থানার পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্কুল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার টিফিনের পর অভিভাবকদের নিয়ে বৈঠক করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেই সময় স্কুলের দশম শ্রেণির ক্লাসঘরে থাকা জানালার গ্রিল দুই ছাত্র ভেঙে ফেলে। তা জানতে পেরেই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার বিশ্বাস তাদের মারধর করে। তবে পড়ুয়ার অভিভাবক এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। এবং তাঁরা চলেও যান। তার পরই তৈরি হয় সমস্যা। জানা গিয়েছে, একাধিক পড়ুয়া ওই দুই ছাত্রকে মারধরের প্রতিবাদে কৃষ্ণনগর করিমপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। যান চলাচল ব্যাহত হয়। তবে এই ঘটনার পর এলাকার সচেতন অভিভাবকের একাংশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পথ অবরোধ উঠে যায়।
[আরও পড়ুন: Durga Puja: ঘরের ছেলে পল্টু নেই ৩ বছর, তবু প্রথা মেনেই চলছে জৌলুসহীন মিরিটির দুর্গাপুজো]
তবে ততক্ষণে স্কুলে আটকে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক-সহ একাধিক শিক্ষক-কর্মীরা। এর পর তারা স্কুলের মূল ফটক আটকে শিক্ষকদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তেহট্ট থানার পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা স্কুলের গেট ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করে। তবে পুলিশ কিছুক্ষণের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ওই দুই ছাত্রকে মারধর করা একদম উচিত হয়নি।
তাদের আরও অভিযোগ, স্কুলে উপস্থিতির হার কম থাকলে পড়ুয়াদের পাঁচশ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। অধিকাংশ পড়ুয়া ক্ষুব্ধ হয়। যদিও এ সমস্ত বিষয় অস্বীকার করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার বিশ্বাস বলেন, “স্কুলে মূলত উঁচু ক্লাসের পড়ুয়ারা একেবারেই স্কুলে উপস্থিত হয় না। স্কুল এবং ক্লাসের প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়ানোর জন্য অভিভাবকদের সাথে আলোচনায় বসা হয়েছে। প্রত্যেক অভিভাবককে এ বিষয়ে সমর্থন জানিয়েছে। আজকের বিষয়ের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ কী করা যায় তা আলোচনা করে দেখা হচ্ছে।”