shono
Advertisement

স্নাতক থেকে স্নাতকোত্তরে ভরতিতে সংরক্ষণের দাবি, ছাত্র বিক্ষোভে ফের উত্তাল বিশ্বভারতী

একটানা ১৫ ঘণ্টা ধরে চলে ছাত্র বিক্ষোভ।
Posted: 09:32 AM Nov 13, 2021Updated: 09:32 AM Nov 13, 2021

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: অভ্যন্তরীণ সংরক্ষণের দাবিতে ছাত্র বিক্ষোভে ফের উত্তাল বিশ্বভারতী (Visva Bharati University)। প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর অবস্থান বিক্ষোভ প্রত্যাহার পড়ুয়াদের। শনিবার দুপুর ২টো নাগাদ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বৈঠকে বসার কথা। দাবিপূরণ না হলে ফের আন্দোলন শুরুর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পড়ুয়ারা। 

Advertisement

পল্লিশিক্ষা ভবনের কৃষিবিজ্ঞান বিভাগের পড়ুয়াদের দাবি, বিশ্বভারতীর সমস্ত বিভাগে অভ্যন্তরীণ সংরক্ষণ রয়েছে। তবে কৃষিবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক থেকে স্নাতকোত্তরে ভরতির ক্ষেত্রে কোনও অভ্যন্তরীণ সংরক্ষণ নেই। তাই অবিলম্বে কাউন্সেলিং বন্ধ করে বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের ভরতি নিতে হবে। এই দাবিতে শুক্রবার সকাল থেকে কেন্দ্রীর অফিসের সামনে লাগাতার বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে পড়ুয়ারা। অ্যাকাডেমিক এবং রিসার্চ অফিসের দরজা আটকে ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভও দেখাতে শুরু করে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতেই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাওয়ার দু’টি দরজা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় কার্যালয়েই রয়েছে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর দপ্তর। তার মধ্যে ছাত্রছাত্রীরা খবর পায় বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে কৃষিবিজ্ঞান বিভাগে ভরতির কাউন্সেলিং চলছে। কাউন্সেলিং বন্ধ করে অবিলম্বে অভ্যন্তরীণ সংরক্ষণের দাবিতে আন্দোলরত ছাত্রছাত্রীরা গ্রন্থাগারের ভিতরে ঢুকে যায়। তার ফলে বন্ধ হয়ে যায় কাউন্সেলিং।

[আরও পড়ুন: করোনার মাঝেই গবাদি পশু থেকেও ছড়াচ্ছে ভয়ংকর রোগ, রাজ্যে আক্রান্ত অন্তত ৪০]

ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ,  বিক্ষোভ চলাকালীন আন্দোলনকারীদের চোখে ধুলো দিয়ে সন্ধের দিকে কাউন্সেলিং শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার প্রতিবাদে রাতেও ঘেরাও শুরু করে পড়ুয়ারা। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত একটানা প্রায় ১৫ ঘণ্টা চলে বিক্ষোভ। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আশ্বাস দেয়। বৈঠকে রফাসূত্র না পাওয়া গেলে আবারও আন্দোলন হবে বলেই হুঁশিয়ারি পড়ুয়াদের।  তবে ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিকের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

এর আগে সাসপেনশনের প্রতিবাদে ছাত্র আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী। কার্যত গৃহবন্দি হয়ে পড়েন উপাচার্য। ব্যাহত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভরতি প্রক্রিয়া। ছাত্র আন্দোলনের জল গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টেও। আদালতের হস্তক্ষেপেই অবশেষে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বিশ্বভারতীতে ছাত্র অসন্তোষ। 

[আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহ থেকেই রাজ্যে কমছে বিলিতি মদের দাম, জেনে নিন খুঁটিনাটি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement