ধীমান রায়, কাটোয়া: আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাবেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকা। তাই বন্ধ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। হল না রান্নাবান্না। খাবার না পেয়ে ফিরে যেতে হল বেশকিছু প্রসূতি ও শিশুদের। কাটোয়ার মালঞ্চ গ্রামে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শুক্রবার এই ঘটনার জেরে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও দুপুরের দিকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্না চড়ান সহায়িকা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া ২ ব্লকের গাজিপুর পঞ্চায়েতের মালঞ্চা প্রাথমিক স্কুলে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চলে। প্রসূতি ও শিশুরা মিলে ৩০ থেকে ৩৫ জন উপভোক্তাদের পুষ্টির জন্য খাবার দেওয়া হয়। ওই কেন্দ্রে দু’বছর ধরে কোনও কর্মী নেই। কেন্দ্রের সহায়িকা মঞ্জু পাল নামে কেন্দ্র চালান। কর্মী না থাকায় পঠনপাঠন বন্ধ। শিশুরা শুধু খাবার নিয়েই বাড়ি চলে যায়। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার হঠাৎ ওই কেন্দ্র ছুটি দিয়ে দেন মঞ্জু দেবী৷ কারণ হিসেবে জানানো হয়, এক আত্মীয়ের বিয়ে। অনেকেই খাবার নিতে এসে ফিরে যায়। তা নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এলাকায়।
[আরও পড়ুন: বিজেপি কর্মী হওয়ায় সামাজিক বয়কটের শিকার! সমস্যা নিয়ে থানায় অভিযোগ]
মঞ্জু পাল বলেন, “আমি এই কেন্দ্রে একাই থাকি৷ পাশের মেইগাছি গ্রামের কেন্দ্রের কর্মী আমাদের এখানে এসে মাঝে মধ্যে হিসাবপত্র দেখেন৷ আমার কোনও ছুটি নেই। আমার এক আত্মীয়ের বিয়ে উপলক্ষ্যে কলকাতায় যাওয়ার কথা ছিল। তাই ছুটি দিই। এর জন্য আগের দিনেই একসঙ্গে দু’ দিনের খিচুড়ি দিয়ে দিয়েছি৷” যদিও স্থানীয় বধূ অম্বিকা ঘোষ বলেন, “আমাদের ছুটির কথা বলা হয়নি। তবে আগের দিন বেশি খিচুড়ি দিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
এ বিষয়ে কাটোয়া ২ ব্লকের যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন, “মানুষের প্রয়োজন থাকতেই পারে। তার জন্য দপ্তরে জানানো উচিত ছিল।” কাটোয়া ২ বিডিও পুষ্পেন্দু সাহা বলেন, “বিষয়টি জানতাম না। পরে বিষয়টি জানার পরেই খোঁজখবর নেওয়া হয়। যদিও দুপুরের দিকে ওই কেন্দ্রে খিচুড়ি রান্না করে উপভোক্তাদের খাওয়ানো হয়েছে।”