ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: কলকাতা হাই কোর্টে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে বিশ্বভারতী (Visva Bharati) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সাসপেন্ড হওয়া ৩ পড়ুয়ার শাস্তি প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তাঁদের ক্লাসে ফেরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে তা সত্ত্বেও মিটছে না অশান্তি। রেজিস্ট্রার উপার্চার্যের সঙ্গে গেলে ফের নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবন চত্বর।
বুধবার হাই কোর্ট ওই তিন পড়ুয়ার শাস্তি প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে। বৃহস্পতিবারই তাঁদের ক্লাসে ফেরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশ পাওয়ার পর বুধবার বিকেলে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাসভবনে যান রেজিস্ট্রার। কার্যত কোনও কারণ ছাড়াই সেই সময় রেজিস্ট্রারের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন ছাত্ররা। কোনওভাবেই রেজিস্ট্রারকে ভিতরে যেতে দেবেন না বলেই জানান তাঁরা। উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এরপর বাধ্য হয়েই গাড়ি ঘুরিয়ে ফিরে যান রেজিস্ট্রার।
[আরও পড়ুন: প্রেমের ফাঁদে ফেলে ২ যুবককে অপহরণ, মুক্তিপণ আদায় করতে গিয়ে পুলিশের জালে প্রতারকরা]
লাগাতার ছাত্র বিক্ষোভে বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তাল বিশ্বভারতী। তবে সমস্যার শুরু চলতি বছরের জানুয়ারিতে। অর্থনীতি এবং রাজনীতি বিভাগের লাগাতার ছাত্র বিক্ষোভ, উপাচার্য ঘেরাওকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে উঠলেও অসহযোগিতার অভিযোগ ওঠে রাজ্যের বিরুদ্ধে। হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিশ্বভারতী (Visva Bharati University)। ৩৮ পাতার রিট পিটিশন দাখিল করল আদালতে। ফাল্গুনী পান, সোমনাথ সৌ এবং হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীত বিভাগের ছাত্রী রূপা চক্রবর্তীকে সাসপেন্ড (Suspend) করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ ছিল, উপাচার্যের (VC) সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন এঁরা। সেই কারণে সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত। পরবর্তী সময়ে তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারও করেন উপাচার্য। এর প্রতিবাদে কলকাতা হাই কোর্টে পালটা মামলা করেন ছাত্রছাত্রীরা।রাজ্যের বিরুদ্ধে পালটা অসহযোগিতার অভিযোগেও উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বুধবার সেই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে। তিনি এই মামলার অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে জানান, ওই ৩ পড়ুয়াকে অবিলম্বে ক্লাসে ফেরাতে হবে।