সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিবাসন নীতিতে আমূল পরিবর্তন আনার কারণে কানাডা থেকে নির্বাসিত হতে পারেন প্রায় ৭০ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থী। এই ছাত্রদের মধ্যে একটা বিরাট অংশে ভারতীয় পড়ুয়াও রয়েছেন। এঁদের ওয়ার্ক পারমিট, ভিসা চলতি বছরেই শেষ হয়ে যাবে। তাঁরা এই ভিসার মেয়ার বাড়ানোর জন্য আন্দোলনে নেমেছেন।
কানাডায় বসবাসকারী পড়ুয়াদের দাবি, দ্রুত প্রশাসন ওয়ার্ক পারমিট ও অভিবাসন নীতিতে বড় বদল এনেছে। যে কারণে সকলকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বলে রাখা ভালো, রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসী আসায় দিন দিন আবাসন সংকট তীব্র হচ্ছে কানাডায়। এর জেরে বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রবেশে সম্প্রতি বিধিনিষেধ আরোপ করেছে জাস্টিন ট্রুডোর সরকার। অতিরিক্ত বিদেশি শিক্ষার্থীদের চাপে অভিবাসন নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: মুইজ্জুর ‘মোদিপ্রীতি’তেও গলছে না বরফ, মালদ্বীপে কমছে পর্যটক, লক্ষ্মীলাভ লাক্ষাদ্বীপের]
এছাড়া মাসকয়েক আগে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের প্রবেশের উপর দুবছরের জন্য একটি ক্যাপ বা বিধিনিষেধ ঘোষণা করা হয়। কানাডা প্রশাসন জানিয়ে দেয়, বেশ কিছু স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের কাজের অনুমতিপত্র বা ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া বন্ধ রাখা হবে। এর ফলে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা অনুমোদনের হার প্রায় ৩৫ শতাংশ কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে ট্রুডোর দেশে রেকর্ড সংখ্যক বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। সরকারি হিসাবে অনুযায়ী, এক দশক আগে কানাডায় বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল মাত্র ২ লক্ষ ১৪ হাজারের মতো।
প্রসঙ্গত, কাজের অনুমতি পাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ হওয়ায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য কানাডা। চলতি বছরের গোড়াতে সেদেশের দেওয়া এক রিপোর্টে দেখা যায়, ২০২২ সালে সক্রিয় ভিসা-সহ কানাডায় বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৮ লক্ষেরও বেশি। অথচ ২০১২ সালে ছিল মাত্র ২ লক্ষ ৭৫ হাজার জন। অর্থাৎ, এক দশকে ৫ লক্ষেরও বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী কানাডায় প্রবেশ করেছে উচ্চশিক্ষার জন্য।