সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের আতঙ্কে চলতি বছরে স্নাতকস্তরের পরীক্ষাও হচ্ছে অনলাইনে। বাড়িতে বসেই পরীক্ষা দিচ্ছেন পড়ুয়ারা। কিন্তু এই পদ্ধতিতে তো অভ্যস্ত ছিলেন না অনেকেই। অধিকাংশের কাছে গোটা বিষয়টা ছিল ধোঁয়াশা। কী হবে বুঝতে পারছিলেন না তাঁরা। একই পরিস্থিতির মাঝে পড়ে অশোকনগরের নেতাজি মহাবিদ্যালয়ের (Netaji Satabarshiki Mahavidyalaya) স্নাতকস্তরের ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষার্থীরা। বিষয়টা অনুমান করে তাঁদের সমস্যা সমাধানে ময়দানে নামে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ফলও মিলল হাতেনাতে।
চলতি বছরের মার্চ থেকে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যার কারণে পিছিয়েছে একাধিক পরীক্ষা। পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের (West Bengal State University) স্নাতকস্তরের ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষাও নির্ধারিত সময়ে হয়নি। কবে হবে তা নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা হয়। এরপর স্থির করা হয় ১ অক্টোবর থেকে অনলাইনে হবে পরীক্ষা। অনলাইনে পরীক্ষা কীভাবে হবে তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই পড়ুয়াদের মনে ছিল হাজার প্রশ্ন। ঠিক একইভাবে ঠিক মতো পরীক্ষা শেষ করা চ্যালেঞ্জ ছিল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে। কারণ, কলেজের তরফে সকল পরীক্ষার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করা খুব একটা সহজ ছিল না। অনেকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এই পরিস্থিতিতে অশোকনগরের নেতাজি শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্থির করে তারা ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করবে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে। পরীক্ষা-সংক্রান্ত একটি ভিডিও তৈরি করা হয় কলেজের তরফে। এরপর পরীক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে যান কলেজের প্রাক্তন ছাত্র, অধ্যাপক নওয়াজ মণ্ডল।
[আরও পড়ুন: শিলিগুড়ি থেকে উদ্ধার ৩৩ কেজি ৫৩২ গ্রাম সোনা, পাকড়াও ভিনরাজ্যের চার পাচারকারী]
কলেজের মেন্টরিং কমিটির তরফেও যোগাযোগ করা হয় বহু ছাত্র-ছাত্রীর সঙ্গে। মোটামুটিভাবে সকলের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর পরীক্ষার কয়েকদিন আগে ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপের মাধ্যমে কলেজে তরফে পড়ুয়াদের একটি ওয়ার্কশপ করানো হয়। যেখানে কলেজের তৈরি ভিডিওটি তাঁদের কাছে তুলে ধরা হয়। এছাড়াও কলেজের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউবেও পোস্ট করা হয় ভিডিওটি। যাতে পরবর্তীতে কোনও পড়ুয়া প্রয়োজনে সেটি কাজে লাগাতে পারে। অর্থাৎ পরীক্ষার আগেই পরীক্ষার্থীদের কাছে গোটা বিষয়টি পরিস্কার করে দেওয়া হয় কলেজের তরফে। যার ফলে অনলাইন পরীক্ষার ভীতি কেটেছে ছাত্র-ছাত্রীদের। মসৃণভাবেই চলছে পরীক্ষা।
এবিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ সুধানাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পরীক্ষার্থীদের আগেভাগে গোটা বিষয়টা বুঝিয়ে দেওয়ার ফলে অনলাইনে উত্তরপত্র পাঠাতে তাঁদের অসুবিধা হচ্ছে না। হার্ড কপি জমার ব্যবস্থা থাকলেও অধিকাংশই অনলাইনে উত্তরপত্র পাঠাচ্ছে। অধ্যাপক-অধ্যাপিকা ও শিক্ষাকর্মীদের সহযোগিতার কারণেই সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে গোটা প্রক্রিয়া চলছে।”
দেখুন ভিডিও: