সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন বছরেই চমক। রেকর্ড গড়ে ২০১৮ টা শুরু করলেন বালুশিল্পী সুদর্শন পট্টনায়েক। নিজের শিল্পীসত্ত্বা দিয়েই নববর্ষকে স্বাগত জানালেন তিনি। পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত শিল্পী পুরীর সৈকতে তৈরি করলেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় জগন্নাথের মূর্তি।
বালুশিল্পে যে বিশ্বে নজির গড়া যায় তা তিনি আগেও দেখিয়েছেন। বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়েও দেখিয়ে এসেছেন নিজের হাতের কারসাজি। তাজ্জব করেছেন বিশ্ববাসীকে। বড়দিনে পুরীর সৈকতে দুই সংস্কৃতির মিলন ঘটিয়েই বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন সুদর্শন। মহাপ্রভুর লীলাক্ষেত্রেই সৈকতের উপর ফুটিয়ে তুলেছিলেন বৃহত্তম সান্তার মুখ। আর এবার তাঁর হাতে আকার পেলেন জগন্নাথ। ৩০ ফুট উঁচু এবং ৬০ ফুট চওড়া জগন্নাথ মূর্তি বানিয়ে ফের তাক লাগালেন। তাঁর এই প্রতিভা আগামীর কাছে পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হয়েছে ইন্দিরা গান্ধী মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ও। প্রথমবার অনলাইনে বালুশিল্পকে ডিগ্রি কোর্সের অন্তর্গত করা হতে চলেছে বলে জানিয়েছে ইগনু। সুদর্শনের প্রস্তাব ও পরামর্শেই দিনের আলো দেখতে চলেছে এই কোর্স।
[কংসাবতীর রূপে উজ্জ্বল ‘সবুজদ্বীপ’, রূপসী বাংলায় নতুন বেড়ানোর স্পট]
নতুন বছর উপলক্ষে পুরীর সৈকতে পর্যটকদের ভিড়। আর তাঁদের সামনেই নিজের এই অনন্য নজির তুলে ধরলেন সুদর্শন। অর্থাত জগন্নাথধামে জোড়া জগন্নাথ দর্শনের সুযোগ করে দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, নতুন বছরে সবুজকে বাঁচানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। দেশে দূষণের পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। লাগামছাড়া দূষণে জর্জরিত দিল্লিবাসী। আর একমাত্র সবুজকে রক্ষা করলেই এই দূষণের সঙ্গে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন সুদর্শন। প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নিতে পারবে আমজনতা। তাই তাঁর হাতের যাদুতে বালিতে ফুটে উঠেছে ভারতমাতার মুখ। যেখানে রয়েছে সবুজের ছোঁয়া। এভাবেই পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও সবুজায়নের ডাক দিয়েছেন শিল্পী। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ইংরাজি নববর্ষের শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। কণা কণা বালি জড়ো করে এতবড় শিল্প গড়ে তোলা তো চাট্টিখানি কথা নয়। তবে সুদর্শন তা প্রতিবার করেন অনায়াস দক্ষতায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না।
[দাউদের চাপে ছাড়পত্র দিয়েছে সেন্সর, সিনেমা হল ভাঙচুরের হুমকি কর্ণি সেনার]
The post বছরের শুরুতেই রেকর্ড, বিশ্বের সবচেয়ে বড় জগন্নাথ গড়লেন বালুশিল্পী সুদর্শন appeared first on Sangbad Pratidin.