অর্ণব আইচ: রাজ্যে কমেছে আত্মহত্যার সংখ্যা। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর রিপোর্টে উঠে এসেছে এই তথ্য। সেই তুলনায় অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও বিশেষ করে ঝাড়খণ্ডের আত্মহত্যার গ্রাফ অনেকটাই ঊর্ধ্বমুখী।
[আরও পড়ুন: বেহাল রাস্তা নিয়ে প্রশ্ন করতেই বুথ সভাপতিকে পদ থেকে সরানোর নির্দেশ অনুব্রতর, তুঙ্গে বিতর্ক]
২০১৯ সালের এনসিআরবি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮ সালে এই রাজ্যে আত্মহত্যার সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ২৫৫। গত বছর তা কমে হয় ১২ হাজার ৬৬৫। সেই তুলনায় মহারাষ্ট্রে ১৮ হাজার ৯১৬, তামিলনাড়ুতে ১৩ হাজার ৪৯৩ জন আত্মঘাতী হয়েছেন। গত বছর সারা দেশে আত্মহত্যা করেছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ১২৩ জন, যা ২০১৮ সালের থেকে বেশি। এর মধ্যে ১০৪ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য। দেখা গিয়েছে, সারা দেশে মোট ৩২ শতাংশ সাংসারিক সমস্যার কারণে আত্মহত্যা করেছেন। বিবাহজনিত সমস্যায় ৫৫ শতাংশ ও অসুস্থতার জন্য ১৭ শতাংশ মানুষ আত্মঘাতী হয়েছেন। আত্মঘাতীদের মধ্যে ৭০ শতাংশ পুরুষ ও তাঁদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ বিবাহিত। দেশে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন ৫৩ শতাংশ, বিষ পান করে আত্মঘাতী ২৫ শতাংশ। শিক্ষিত মানুষের মধ্যে আত্মঘাতীর সংখ্যা কম বলে দেখা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক উসকানি দিয়ে ‘বিভ্রান্তিকর’ টুইট অর্জুন সিংয়ের, পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি পুলিশের]
কলকাতার ক্ষেত্রে ২০১৮ সালের থেকে গত বছর আত্মহত্যার সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। গত বছর কলকাতায় আত্মহত্যা করেছেন ১৮১ জন। এই সংখ্যা দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই ও মুম্বাইয়ের মতো শহরের ধারেকাছে আসে না। কারণ দিল্লিতে গতবছর আত্মঘাতী হয়েছেন ২ হাজার ৪২৩ জন, বেঙ্গালুরুতে ২ হাজার ৬১, মুম্বইয়ে ১ হাজার ২২৯, চেন্নাইয়ে ২ হাজার ৪৬৮ জন। এ ছাড়াও বেশিরভাগ শহরেই আত্মঘাতীর সংখ্যা কলকাতার থেকে অনেক বেশি। এই বছর লকডাউনের শুরু থেকে জুন মাস পর্যন্ত ৬০ জন আত্মহত্যা করেছেন। এর মধ্যে এক মাসে আত্মঘাতী হয়েছিলেন ৪৫ জন। এর মধ্যে লকডাউনে অবসাদের ফলে অনেকেই আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।