বিধান নস্কর, দমদম: দমদমে (Dumdum) স্ত্রী, কন্যাকে খুনের পর প্রাক্তন সেনা জওয়ানের আত্মহত্যার (Ex Army Suicide) তদন্তে চাঞ্চল্যকর মোড়। দেহ উদ্ধার করে তদন্তের পর মৃতের পকেট থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি চিঠি। যাকে প্রাথমিকভাবে সুইসাইড নোট (Suicide Note) বলে মনে করা হচ্ছে। তাতে লেখা, পরিবারের সদস্যদের দেহ কোথায় পোড়ানো হবে। এক প্রতিবেশীকে সেই চিঠি লিখেছিলেন তিনি। আর এই চিঠিকেই বড় সূত্র ধরে এগোচ্ছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে মধ্যমগ্রামের কাছে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন প্রাক্তন সেনা জওয়ান। তাঁর মৃত্যুর (Death) খবর বাড়িতে পৌঁছতে গেলে দেখা যায়, সেখানেও স্ত্রী, মেয়ের রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে। খুন, আত্মহত্যার এই ঘটনায় রহস্য আরও ঘনিয়ে তুলল উদ্ধার হওয়া এই চিঠি।
শুক্রবার গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় নামে একসময় সেনাাবহিনীতে (Indian Army) কর্মরত ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয় মধ্যমগ্রামের কাছে, রেললাইনে। সূত্রের খবর, মানসিক সমস্যা ছিল গৌতমবাবুর। শুক্রবার সকালে মধ্যমগ্রামে রেল লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। বিষয়টাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পরিবারকে দুঃসংবাদ জানাতে গেলে পুলিশের চক্ষুচড়কগাছ! দমদম পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় তাঁর স্ত্রী দেবিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মেয়ে দিশা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেহ (Deadbody)। তাঁদের সবজি কাটার ছুরি দিয়ে খুন করা হয় বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। দেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ।
[আরও পডুন: যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যু: গ্রেপ্তার মেধাবী ছেলে! টিভিতে খবর দেখে মাথায় হাত দরিদ্র পরিবারের]
তদন্তে নেমে একটি চিঠি আসে পুলিশের হাতে। সেটি গৌতমবাবুর সুইসাইড নোট বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল। তবে প্রতিবেশীকে লেখা সেই চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, তাঁদের দেহ কোথায় সৎকার করতে হবে। আর তাতেই তদন্তকারীদের অনুমান আরও জোরদার হচ্ছে, পরিকল্পনা করেই স্ত্রী, কন্যাকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন প্রাক্তন সেনা জওয়ান। পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, চাকরি থেকে অবসরের পর মৃত্যুভয় চেপে ধরেছিল গৌতমবাবুকে। তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। নিয়মিত কাউন্সেলিং (counselling) চলছিল। তবে ঠিক কোন পরিস্থিতিতে এহেন ভয়ংকর ঘটনা ঘটালেন তিনি, তা খুঁজছে পুলিশ।