সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী মোদির গুণকীর্তন করা ছোট নাটক বাংলার সমস্ত থিয়েটার দলকে পাঠানো হয়েছে। আর তা মঞ্চস্থ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় কেন্দ্রের মোটা অনুদান বন্ধ করে দেওয়া হবে। এমন অভিযোগে সোশাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন ব্রাত্য বসু। এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সুজন মুখোপাধ্যায় (Sujan Mukherjee)। জানালেন মেল তাঁদের ‘চেতনা’ নাট্যগোষ্ঠীর কাছেও এসেছে।
ফোনে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে অভিনেতা তথা নাট্যশিল্পী জানান, ২০১৩ সাল থেকে ‘চেতনা’ কোনও গ্রান্ট পায় না। ব্ল্যাকলিস্টেড করে দেওয়া ছিল। কিন্তু কেন? সুজনের উত্তর, “তার ইতিহাস কেউ কিছু জানি না! দ্যাখো! কিছু একটা নিশ্চয়ই ছিল। ‘মহাত্মা বনাম গান্ধী’ অবধি গ্রান্টের কোনও টাকাই ঢোকেনি। আমাকে দল থেকে সিনিয়াররা বললো, মানে আমার দাদারা, বন্ধুরা ভালো অর্থেই বললো যে ভবিষ্যতে তো লাগতে পারে তুই নতুন করে আবেদন কর। আমরা গত বছর অ্যাপ্লাই করেছিলাম। একেবারে নমিনাল যে গ্রান্টটা দেয় সেটা অনুমোদন করা হয়েছে। এটা আমি নিতে চাইছিলাম না। সিনিয়াররা বললো, আর আমারও মনে হল ভবিষ্যতে যারা আসবে, তাঁদের যেন অসুবিধা না হয় আর কি! আমি তো চিরকাল থাকব না।”
[আরও পড়ুন: আত্মঘাতী কঙ্গনা রানাউতের সহ অভিনেত্রী, ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার দেহ]
সুজন জানান, এই গ্রান্টের জন্য তিনি দিল্লি গিয়েছিলেন। সেখানে বিচিত্র সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে। সে যাই হোক, পরে গ্রান্ট অনুমোদন করা হয়েছে। ব্রাত্য বসু যে মেলের কথা বলছেন তা ‘চেতনা’র মেলে এসেছে। সেই প্রসঙ্গে জানাতে গিয়ে সুজন বলেন, “মেলে তিনটি টপিক দেওয়া রয়েছে। যার উপরে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি বেলা চারটের সময় ১০ মিনিটের একটা লাইভ ভিডিও করে, নাটক করে ওদের দেখাতে হবে বা ওদের ইউটিউব লিঙ্কে আপলোড করতে হবে এবং তার ফলে সবাই একটু আতঙ্কিত হয়ে যায় কারণ এটা না করলে যদি গ্রান্ট বাতিল হয়ে যায়!”
তবে সুজনের এতে কোনও আতঙ্ক নেই। অভিনেতার কথায়, “গ্রান্টের একটা টাকাও আমি এখনও পাইনি। তা সত্ত্বেও আমার দল ঠিক আছে। এতে কোনও অহংকার নেই। কারণ গ্রান্ট পাওয়াটাও জরুরি। তবে হ্যাঁ, স্ক্রিপ্টটা হিন্দিতে এসেছে। বাংলা করে ওরা দেবে বলেছে। স্ক্রিপ্টটার মধ্যে কিন্তু আমি পাইনি। কিন্তু আমি এটা বলছি যদি চিত্রটান্য পড়ে আমার মনে হয় যে এটা কোনও প্রপাগান্ডা, ভোটের আগে কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের জন্য, আমি করব না। কিন্তু না পড়ে বলতে পারব না। ভয় পাওয়টা স্বাভাবিক। করণ এর উপর অনেক ছেলেপুলের রোজগার নির্ভর করে। আমি ভয় পাই না, কারণ আমার গ্রান্টের উপর নির্ভরশীলতা নেই। কিন্তু স্ক্রিপ্ট পড়ে যদি মনে হয় প্রপাগান্ডা বা প্রচ্ছন্ন কিছু লুকিয়ে আছে, তাহলে আমি করব না। তার জন্য গ্রান্ট থেকে বাতিল করে দেয় দেবে।”
[আরও পড়ুন: প্রেম থাকুক ৩৬৫ দিন, ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে না হয় একটু বেশি! কীভাবে? রইল টিপস ]