বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রের মন্ত্রী হলেও এখনই বাংলায় সভাপতি বদল হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে অক্টোবর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পাশাপাশি রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব তাঁকেই সামলানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সাংগাঠনিক নির্বাচন সম্পন্ন করতে ন্যূনতম তিনমাস লাগবে। ফলে নতুন সভাপতি হিসেবে এখনই কাউকে বেছে নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না বলে জানান বিজেপির এক কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
বালুরঘাট আসন থেকে দ্বিতীয়বার জয়ী হয়ে কেন্দ্রের রাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। গেরুয়া শিবিরের নিয়মানুসারে একই ব্যক্তি সরকার ও দলের পদাধিকারী থাকতে পারেন না। কোনও একটি ছেড়ে দিতে হয়। এক্ষেত্রে সুকান্তকে সভাপতির পদ ছাড়তেই হবে। নতুন রাজ্য সভাপতি কে হবেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। তিন-চারজনের নাম নিয়ে জল্পনা চলছে। দলের অভ্যন্তরের আদি, নব্য ও তৎকাল বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ফলে নতুন সভাপতি বেছে নিতে সাত-পাঁচ ভাবতে হচ্ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। আশা আশঙ্কার দোলাচলে শীর্ষ নেতারা। এর মধ্যেই দলের এক শীর্ষনেতা জানান, যেহেতু বঙ্গের সভাপতির মেয়াদ ফুরিয়ে এসেছে তাই দলের একদম নিচুতলা নির্বাচন হবে। পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে খুব কম করে হলেও তিন মাস সময় লাগার কথা।
[আরও পড়ুন: আর্থিক উন্নতিতে সবার আগে ভারত, ৩ বছরে ৬.৭ শতাংশ হারে GDP বৃদ্ধির পূর্বাভাষ বিশ্ব ব্যাঙ্কের]
তবে আরেকটি সূত্র জানাচ্ছে, দল কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর সাংগাঠনিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অলিখিত কিছু পরিবর্তন এসেছে। যা হওয়া উচিৎ নয়। যেমন নিচুতলা থেকে না করে প্রথমে সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচন করে ফেলা হচ্ছে। তিনি দায়িত্ব নিয়েই নিজের পছন্দের লোকজনদের রাজ্য সভাপতি করছেন। আবার রাজ্য সভাপতি ক্ষমতা পেয়েই জেলা, মণ্ডল ও বুথে নিজের পছন্দের লোকদের দায়িত্ব দিচ্ছেন। ফলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হচ্ছে। এবার কি একই পথে হাঁটবে শীর্ষনেতৃত্ব নাকি গঠনতন্ত্র মেনে নিচুতলা থেকে নির্বাচন শুরু করবে সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন।