সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজকের দিনে জাতীয়তাবাদ, দেশাত্মবোধের মতো পবিত্র চেতনাও রাজনৈতিক অস্ত্র। অন্য দিকে নীরবে, নিভৃতে কাজ করে যান কিছু মানুষ। যেমন, বর্ষীয়ান সমাজকর্মী বিন্দেশ্বর পাঠক (Bindeshwar Pathak)। সুলভ শৌচালয়ের জনকও বলা হয় তাঁকে। সুলভ ইন্টারন্যাশনালের (Toilet International) প্রতিষ্ঠাতা তিনি। মঙ্গলবার দিল্লির একটি হাসপাতালে ৮০ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন এই পদ্মভূষণ প্রকৃত দেশসেবক।
এদিন রাজধানীতে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রখ্যাত সমাজকর্মী। সেখানেই আচমকা অসুস্থ বোধ করেন তিনি। দ্রুত দিল্লি এইমসে ভরতি করা হয় তাঁকে। সেখানে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বিন্দেশ্বর। যিনি মনে করতেন, সভ্য সমাজ গড়ার একমাত্র হাতিয়ার শিক্ষা। সেই পথেই আজীবন মানবাধিকার, পরিবেশের পরিচ্ছন্নতা, শক্তির অপ্রচলিত উৎস এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। বিন্দেশ্বরের প্রতিষ্ঠান সুলভ ভারতে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি সরকারি শৌচালয় তৈরি করেছে৷ পাশাপাশি ঘরে ঘরে ব্যবহারের জন্য প্রায় দেড় কোটি শৌচালয় তৈরি করেছে এই সংস্থা৷
[আরও পড়ুন: ‘নারীদের হাত ধরেই দেশের উন্নতি হবে’, স্বাধীনতা দিবসে বার্তা মোদির, পতাকা উত্তোলন মমতার]
মানুষের দ্বারা মানুষের বর্জ্য পরিষ্কার বন্ধ করতে দীর্ঘ দিন আন্দোলন করেছেন বিন্দেশ্বর পাঠক৷ তিনি মনে করতেন, ঝুঁকি দিকটি তো আছেই, এছাড়াও যে কোনও মানুষের কাছে এমন কাজ অপমানজনক৷ তার আন্দোলনের পরেই এই বিষয় আইন আনে ভারত সরকার। যদিও সেই আইন কতখানি বলবৎ হয়েছে তা এক কুটিল প্রশ্ন।
[আরও পড়ুন: রাজস্থানে ফের অঞ্জু কাণ্ডের ছায়া, প্রেমিকের সঙ্গে কুয়েতে পাড়ি দিলেন দুই সন্তানের মা]
দেশে-বিদেশে একাধিক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন বিন্দেশ্বর পাঠক। সামাজিক উন্নতিকল্পে সামগ্রিক অবদানের জন্য নিউ ইয়র্কের মেয়র বিরল সম্মানে ভূষিত করেন এই বিশিষ্ট ভারতীয়কে। ওই শহরে ২০১৬ সাল থেকে ১৪ এপ্রিলকে ‘বিন্দেশ্বর পাঠক ডে’ হিসেবে পালন করা হয়। প্রবীণ সমাজকর্মীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রমুখ।