সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সূর্যের তেজে ঝলেস গেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (RCB)। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (MI) সূর্যকুমার মাত্র ৩৫ বলে ৮৩ রান করেন। দেশের ক্রিকেটমহলে সূর্যকুমার যাদবকে (Suryakumar Yadav) আদর করে স্কাই বলা হয়। তাঁর বিধ্বংসী ইনিংস দেখে সুনীল গাভাসকরের মতো কিংবদন্তি বলছেন, ”বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করেছে স্কাই। ওর ব্যাটিং দেখে গলি ক্রিকেটের অনুভূতি হওয়াই স্বাভাবিক। প্র্যাকটিস এবং কঠিন পরিশ্রমের ফলে স্কাইকে আরও ভাল দেখাচ্ছে। ওর বটম হ্যান্ড প্রচণ্ড শক্তিশালী। আরও নিখুঁত ভাবে তা ব্যবহার করছে। আরসিবি-র বিরুদ্ধে গোড়ার দিকে লং অন এবং লং অফের দিকে শট খেলছিল। পরের দিকে মাঠের বিভিন্ন প্রান্তে শট খেলছিল।”
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৩৩ বলে ৬৮), ফ্যাফ ডু প্লেসি (৪১ বলে ৬৫) ও দীনেশ কার্তিকের (১৮ বলে ৩০) জন্য রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ২০ ওভারে করে ৬ উইকেটে ১৯৯ রান। রান তাড়া করতে নেমে ১৬.৩ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয়। ১৬.৩ ওভারেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় মুম্বই। সূর্যকুমার ব্যাঙ্গালোরের কৌশল বুঝতে পেরেছিলেন। আর সেই মতো নিজের ব্যাটিং বদলে নেন। সূর্য নিজে বলছেন, ”আমার বিরুদ্ধে ওরা পরিকল্পনা করে খেলতে নেমেছিল।”
[আরও পড়ুন: পাকিস্তান নয়, এই পড়শি দেশে সরছে এশিয়া কাপ! টুর্নামেন্ট বয়কটের পথে পাক বোর্ড]
নেহাল ওয়াধেরার (৫২ অপরাজিত) সঙ্গে ১৪০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন সূর্যকুমার। তিনি বলছিলেন, ”ওরা স্থির করেছিল আমাকে মন্থর বল করবে। বড় বাউন্ডারির দিকে মারছিলাম। আমাকে জোরে বল করছিল না।”
সূর্যকুমার এমন ধরনের পরিস্থিতির জন্য নিজেক তৈরি করেন। তাঁর কথায়, ”ওপেন নেট সেশনে ফিল্ডার রেখে অনুশীলন করি। কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করি। নিজের খেলা সম্পর্কে আমি জানি। কোথায় আমার রান রয়েছে, তা আমি জানি। অন্যরকম কিছু করার চেষ্টা আমি করি না।”