সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই মহাবিশ্বে মানুষ কি একা? পৃথিবীই কি একমাত্র গ্রহ, যেখানে রয়েছে প্রাণের অস্তিত্ব? এই প্রশ্নের উত্তর সেই কবে থেকে খুঁজে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। আর সেজন্য কেবল সৌরজগত নয় (Solar system), এমনকী ছায়াপথের বাইরে অন্যত্রও চোখ রেখেছেন তাঁরা। আর এভাবে খুঁজতে খুঁজতেই এবার খোঁজ মিলল এক ‘মহাপৃথিবী’র (Exoplanet)। পৃথিবী থেকে ৩৭ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত রস ৫০৮বি গ্রহটিকে ঘিরে আগ্রহ তুঙ্গে। মনে করা হচ্ছে, পৃথিবীর দোসর হতে পারে এই গ্রহটি। অর্থাৎ জলের অস্তিত্ব থাকতেই পারে এখানে। ফলে তা বসবাসের যোগ্য হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
জানা গিয়েছে, এই গ্রহটি পাক খাচ্ছে যে নক্ষত্রকে, সেটি একটি ‘লাল বামন’। সেটির সঙ্গে গ্রহটির যা দূরত্ব, তা থেকে মনে করা হচ্ছে এই গ্রহে জল থাকতেই পারে। তবে সমস্যা হল, গ্রহটি পাক খেতে খেতে অনেক সময়ই সেই অবস্থান থেকে সরে যাচ্ছে। তবে তা সত্ত্বেও গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে, এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা।আগামিদিনে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের সাহায্যে এই গ্রহটিকে পর্যবেক্ষণ করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: শেষযাত্রায় ছিঁড়ে নেওয়া হয় রবীন্দ্রনাথের চুল-দাড়ি! শুধু শোক নয়, বাইশে শ্রাবণ এক লজ্জার ইতিহাসও]
জানা গিয়েছে, এই গ্রহটির বছর হয় ১০.৮ দিনে। অর্থাৎ ১১ দিনেরও কম সময়েই লাল বামন তারাটিকে পাক খেয়ে চলে রস ৫০৮বি। লাল বামন দশার নক্ষত্রদের উপরে নজরদারি চালানো খুব সহজ নয়। সাধারণত এই অবস্থার নক্ষত্রদের তাপমাত্রা ৪ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকে। দৃশ্যমান আলোর মধ্যে তাদের পর্যবেক্ষণ করা কঠিন।
তবু এই ধরনের নক্ষত্রের চারপাশে পাক খাওয়া গ্রহদের মধ্যে বসবাসের যোগ্য গ্রহ খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলেই মনে করা হয়। এখন দেখার, এই গ্রহটিতে সত্য়িই প্রাণ রয়েছে কিনা, সে সম্পর্কে জেমস ওয়েব কোনও তথ্য দিতে পারে কিনা।