সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মিডিয়া ট্রায়াল। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেই তাঁকে অপরাধী বলে দেগে দেওয়ার প্রচেষ্টা। ‘সূত্রে’র দোহাই দিয়ে অপপ্রচার! সংবাদমাধ্যমের এই ভূমিকা রুখতে এবার কড়া অবস্থান নিল দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) জানিয়ে দিল, মিডিয়া ট্রায়াল রুখতে হবে। এবং সেই লক্ষ্যে আগামী ৩ মাসের মধ্যে নির্দেশিকা তৈরি করতে হবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে।
সুপ্রিম কোর্ট বলছে,”মিডিয়া ট্রায়াল বিচারব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে। তাছাড়া যে কোনও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সমাজের চোখে অপরাধী বা সন্দেহভাজন বানিয়ে দিতে পারে।” শীর্ষ আদলতের বক্তব্য, “কোনও মামলায় কারও নাম উঠলেই, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অপরাধ প্রমাণিত হয় না। বরং সংবাদমাধ্যমের পক্ষপাতমূলক আচরণ মানুষের মনে বিশেষ ধারণার জন্ম দেয়। তদন্ত চলাকালীন অভিযুক্তেরও ন্যায্য এবং পক্ষপাতহীন আচরণ প্রাপ্য।”
[আরও পড়ুন: মহিলা বসের বিরুদ্ধে করা যাবে অভিযোগ, আসছে নয়া বিল]
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) বেঞ্চ বলে দিচ্ছে, সংবাদমাধ্যমের মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা মাথায় রেখেও মিডিয়া ট্রায়াল হতে দেওয়া যাবে না। সংবাদমাধ্যমের তথ্য জোগাড়ের অধিকার রয়েছে। কিন্তু তদন্ত চলাকালীন কোন সময়ে কোন তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে, তার দ্বারা তদন্তপ্রক্রিয়াও প্রভাবিত হতে পারে। তাই মিডিয়া ট্রায়াল নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
[আরও পড়ুন: বিশেষ অধিবেশনের আগের দিনই সর্বদল বৈঠকের ডাক কেন্দ্রের, কী আলোচনা হতে পারে?]
এই লক্ষ্যে ৩ মাসের মধ্যে নির্দেশিকা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। অপরাধমূলক মামলার ক্ষেত্রে সেই নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে পুলিশকে। সংবাদমাধ্যমে তারা কী বলবে, কী কী তথ্য প্রকাশ করতে পারবে, এ ব্যাপারে আগামী একমাসের মধ্যে সব রাজ্যের পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে সুপারিশও পাঠাতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। জানুয়ারি মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।