সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৪ বছরের নাবালিকার অশ্লীল ভিডিও তুলে তা সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করেছিল তারই নাবালক সহপাঠী। এই ঘটনায় লজ্জায়, অপমানে আত্মহত্যা করে নাবালিকা। সেই মামলায় অভিযুক্ত নাবালককে জামিন দিল না শীর্ষ আদালত। উচ্চ আদালতের রায় বহাল রেখে তাকে জুভেনাইল হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই মামলায় উত্তরাখণ্ড হাই কোর্ট (Uttarakhand High Court) অভিযুক্ত ওই নাবালককে 'উচ্ছৃঙ্খল' বলে ভর্ৎসনা করে তার জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয়। গত এপ্রিল মাসে এই মামলায় উত্তরাখণ্ড হাই কোর্ট জানায়, ওই কিশোরকে এতটাই শৃঙ্খলাহীন যে ওর মুক্তি ভবিষ্যতে ওর জন্যই বিপজ্জনক হতে পারে। পরবর্তী সময়ে ও অপরাধীর সংস্পর্শে এসে আরও বড় অপরাধে জড়িয়ে পড়তে পারে। ওই কিশোরকে জামিন না দেওয়াটাই হবে ওর প্রতি ন্যায়বিচার।
[আরও পড়ুন: গভীর রাতে হিরণের আপ্ত সহায়কের বাড়িতে পুলিশি হানা, ‘ষড়যন্ত্র’, দাবি বিজেপি প্রার্থীর]
এর পর ছেলের জামিনের দাবিতে শীর্ষ আদালতের স্বারস্থ হন তাঁর মা। আদালতের কাছে তিনি দাবি জানান, ছেলেকে তিনি তাঁর কাছে এনে রাখবেন এবং উপযুক্ত শিক্ষা দেবেন। তবে গোটা মামলা শোনার পর শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) তরফে জানানো হয়, এই মামলায় উচ্চ আদালতের রায়ের উপর কোনও হস্তক্ষেপ করবে না শীর্ষ আদালত।
[আরও পড়ুন: ‘এমনি জিতে যাব…’, ঘাটালের ভোটের আগেই আত্মবিশ্বাসী দেব]
নাবালকের জামিন নাকচ করে শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়, ওই বালকের স্কুল, তার আশপাশের লোকজনের বক্তব্য এবং মেডিক্যাল রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর এটা স্পষ্ট যে ওই নাবালককে মুক্তি দেওয়া কোনওভাবেই উপযুক্ত বিচার হতে পারে না। ওর জামিনের অর্থ হবে ওর কুকর্মগুলিকে আস্কারা দেওয়া। যেটা কখনই ঠিক নয়। অভিযুক্তের এলাকাবাসীর রিপোর্ট অনুযায়ী স্পষ্ট যে সে কুসঙ্গে পড়ে 'উচ্ছৃঙ্খল' হয়ে উঠেছিল। ফলে ওর কঠোর অনুশাসন প্রয়োজন। জামিন দেওয়া হলে ওর দ্বারা আরও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।