সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: কয়লা দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ইডির তলবকে চ্যালেঞ্জ করে অভিষেকদের করা আরজি খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত।
কয়লা দুর্নীতি মামলায় এর আগে একাধিকবার অভিষেক এবং রুজিরাকে দিল্লিতে তলব করে ইডি। তদন্তকারীদের দাবি ছিল, কলকাতায় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে নিরাপত্তার সমস্যা হতে পারে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সেই তলবে সাড়া না দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। অভিষেক দাবি করেন, বার বার তদন্তের নামে দিল্লিতে ডেকে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে ‘হেনস্তা' করছে ইডি।
[আরও পড়ুন: বিদেশি নম্বর থেকে মেসেজ, কংগ্রেসে যোগ দিতেই খুনের হুমকি বজরং পুনিয়াকে!]
অভিষেকের বক্তব্য ছিল, তথাকথিত যে দুর্নীতির তদন্তে তাঁকে তলব করা হচ্ছে, সেটার চারণভূমি পশ্চিমবঙ্গ। অভিষেক-রুজিরা দু’জনই কলকাতার স্থায়ী বাসিন্দা। কলকাতায় ইডির পূর্ণাঙ্গ দপ্তর থাকলেও কেন তাঁদের দিল্লিতে ডাকা হবে? বাড়িতে ছোট ছোট দুই শিশু থাকা সত্ত্বেও কেন তাদের মাকে কলকাতার বদলে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে ডাকা হচ্ছে? কিন্তু সেই আর্জি খারিজ হয়ে গেল।
[আরও পড়ুন: আর জি কর ইস্যুতে সুপ্রিম শুনানি, তদন্তের অগ্রগতি কতদূর? নানা প্রশ্নের মুখে সিবিআই]
এর আগে এই মামলার অন্তর্বর্তী রায়ে অভিষেককে সাময়িক স্বস্তি দেয় শীর্ষ আদালত। অন্তর্বর্তী রায়ে বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং বিচারপতি সতীশ চন্দ্রের বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছিল, অভিষেক বা রুজিরাকে দিল্লিতে তলব করা যাবে না। গত ১৩ আগস্ট মামলার শুনানি শেষ হয়। সেদিনও অন্তর্বর্তী রায় বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। তবে চূড়ান্ত রায়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের আর্জি খারিজ করল শীর্ষ আদালত। এই মামলায় প্রবীণ কৌঁসুলি কপিল সিব্বলের নেতৃত্বে অভিষেক মনু সিংভি এবং গোপাল শঙ্করনারায়ণ অভিষেকদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন। ইডির তরফে ছিলেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু এবং আইনজীবী জোহেব হোসেন।