সোমনাথ রায়, নয়া দিল্লি: উপাচার্য নিয়োগ মামলায় আরও কিছুটা সময় চাইল রাজ্য। এদিন সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের উপাচার্য নিয়োগ মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে রাজ্যের তরফে জানানো হল, উপাচার্য নিয়োগের জট কেটে যাবে। তবে সেক্ষেত্রে কিছুটা সময়ের আর্জি চাওয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতে বিচারপতি সূর্য কান্ত, দীপঙ্কর দত্ত এবং উজ্জল ভূঁইয়ার এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল।
এজি ভেঙ্কটরামানি পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানির সময় বার্তা দেন। তিনি বলেন, "দয়া করে আরও কিছু সময় দিন। কিছু ইতিবাচক উন্নয়ন হয়েছে।" উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা কাটছে। ১৭টি নামের ক্ষেত্রে দুই তরফে জটিলতা কেটে গিয়েছে। আরও ১৭টি নামের ক্ষেত্রে কিছু মতভেদ আছে। সেই মতভেদও কাটিয়ে ফেলা হবে আগামী দিনে। এই কথাও তিনি শুনানিতে আদালতের কাছে বলেন। এজি বলেন, "আমি যদি চ্যান্সেলর এবং রাজ্যের মধ্যে আরও কিছু মধ্যস্থতা করতে পারি...।"
সেক্ষেত্রে বিচারপতি জে সূর্য কান্ত দ্রুত এই কাজ শেষ করার কথা বলেন। তিনি জানান, যে মুহূর্তে মতবিরোধ দেখা দেবে, আদালত পদক্ষেপ করবে। আদালতের মূল্যবান সময় বাঁচানোর কথাও তিনি বলেন। এই জটিলতা কাটাতে রাজ্যের দক্ষ আধিকারিকদের ব্যবহার করার কথাও বোলেন বিচারপতি। আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, "১৭ নম্বরটি একটি ভালো সংখ্যার মতো শোনাতে পারে। কিন্তু এটি ৩৪-এর মধ্যে ১৭ নম্বর।" সেক্ষেত্রে বাকি জটিলতা কাটানোর জন্য তিনি আদালতের কাছে আরও আট সপ্তাহ সময় দাবি করেন। সমস্যা মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হবে। সেই কথাও তিনি মনে করেন। যদিও সেই সময় আদালত মানতে চায়নি। এক্ষেত্রে রাজ্যকে আরও তিন সপ্তাহের জন্য সময় দিল সর্বোচ্চ আদালত।
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সরকারের মধ্যে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছিল। এনিয়ে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত নামের তালিকার চূড়ান্ত খসড়া তৈরির জন্য বৈঠকে বসার নির্দেশ দেয় আদালত। অ্যাটর্নি জেনারেলকে বৈঠকের জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। সেই কথা জানানো হয়েছিল। সর্বোচ্চ আদালতের সেই বক্তব্যের পরেই রাজভবনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হয়েছিল।