সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: বদলি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) অন্তর্বর্তী নির্দেশে কিছুটা স্বস্তিতে শিক্ষকরা। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, পার্শ্ববর্তী এলাকায় বদলি হওয়া শিক্ষকরা শিক্ষকতা চালিয়ে যেতে পারবেন। বাকি যাঁরা দূরে বদলি হয়েছেন তাঁরা পরবর্তী নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন।
পাশাপাশি বদলি নিয়ে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কল ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ। সেই হলফনামার পালটা হলফনামা দেওয়ার জন্য আরও দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে মামলাকারী শিক্ষকদের। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগের ১০সি ধারা কার্যকর হওয়ার আগে যারা চাকরি পেয়েছেন তাঁরা আপাতত বদলির আওতায় আসছেন না। শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কেন ২০০ কিলোমিটার দূরে বদলি করা হল? একইসঙ্গে তাঁদের পর্যবেক্ষণ, “এই পেশায় মহিলারাও রয়েছেন। বদলির বিষয়টি তাই আমাদের এতটা ভাবাচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: ৭ নভেম্বর থেকে শুরু পাঁচ রাজ্যের ভোটগ্রহণ, দিনক্ষণ ঘোষণা কমিশনের]
কী এই শিক্ষক নিয়োগের ১০সি ধারা?
সম্প্রতি বিধানসভায় এই আইন পাশ হয়েছে। নিয়ম বলছে, ১৯৯৮ সালের পর যাঁরা কমিশনের আওতায় চাকরি পেয়েছেন, কমিশন চাইলে তাঁদের বদলি করতে পারে। তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ছাড়ও মেলে এই ধারা থেকে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রায় ১৪০ জন শিক্ষককে বদলি করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এর বিরোধিতা করেই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন বদলি হওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকারা। সেখানে রাজ্য জানিয়েছিল, প্রান্তিক এলাকার বহু স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা নেই। এর পর মৌখিকভাবে বদলির কাগজ তৈরির নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বদলি হওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকারা।