সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: দিল্লিতে নয়, তদন্তের প্রয়োজন হলেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকতে হবে কলকাতাতেই। শীর্ষ আদালতের রায়ে সাময়িক হলেও স্বস্তি পেলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বার বার তদন্তের নামে দিল্লিতে ডেকে 'হেনস্তার' প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক।
অভিষেকের বক্তব্য ছিল, তথাকথিত যে দুর্নীতির তদন্তে তাঁকে তলব করা হচ্ছে, সেটার চারণভূমি পশ্চিমবঙ্গ। অভিষেক-রুজিরা দু’জনই কলকাতার স্থায়ী বাসিন্দা। কলকাতায় ইডির পূর্ণাঙ্গ দপ্তর থাকলেও কেন তাঁদের দিল্লিতে ডাকা হবে? বাড়িতে ছোট ছোট দুই শিশু থাকা সত্ত্বেও কেন তাদের মাকে কলকাতার বদলে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে ডাকা হচ্ছে?
[আরও পড়ুন: ফের প্যারোলে মুক্ত! বন্দিদশা এড়িয়ে ২১ দিনের জন্য ‘ছুটি’তে ধর্ষক রাম রহিম]
মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির পর রায় সংরক্ষণ করে আপাতত অন্তর্বর্তী নির্দেশই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। সেক্ষেত্রে তদন্তের প্রয়োজনে আপাতত বন্দ্যোপাধ্যায় দম্পতিকে যদি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকদের তলব করতেই হয়, তবে দিল্লি নয়, করতে হবে কলকাতাতেই। বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতা হাই কোর্টের আগের নির্দেশ মতোই সাংসদ অভিষেক এবং তাঁর স্ত্রীকে প্রয়োজনে কলকাতাতেই কয়লা পাচার সংক্রান্ত মামলায় জেরা করতে পারবে ইডি। তাঁদের দিল্লিতে তলব করা যাবে না। সাময়িক হলেও এই সিদ্ধান্তকে অভিষেকের বড় জয় হিসাবে দেখা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সরকার পতনে আমেরিকার হাত! গুঞ্জনের মাঝেই বিবৃতি আমেরিকার]
এদিনের শুনানিতে ইডির হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী জোহেব হোসেন। অভিষেকের আইনজীবী ছিলেন কপিল সিবল, রুজিরার তরফে ছিলেন অভিষেক মনু সিংভি। ছিলেন আরেক প্রবীণ আইনজীবী গোপাল শঙ্কর আইয়ারও। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ দীর্ঘ শুনানির পর রায় সংরক্ষণ করেছে। পাশাপাশি অন্তবর্তী নির্দেশে জানিয়েছে, বন্দ্যোপাধ্যায় দম্পতিকে দিল্লিতে নয়, প্রয়োজন হলে জেরা করতে হবে কলকাতাতেই।