স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: আরও একবার সুপ্রিম কোর্টের বিরক্তির মুখে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্য ও রাজ্যপালের সহমতের ভিত্তিতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে রাজ্যপালের অবস্থান কী? আদালতের প্রশ্নের উত্তর দিতে না পেরে রাজ্যপালের আইনজীবী এদিন বিচারপতি সূর্য কান্তের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চকে জানান, বুধবারই তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে দ্রুত আদালতকে তা জানাবেন। এর পর দু’সপ্তাহের জন্য মামলা স্থগিত করে দেয় আদালত।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্য ও রাজ্যপালের মধ্যে চলছে ঠান্ডা লড়াই। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে সম্মান জানিয়ে রাজভবনে গিয়ে এই বিষয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যদিও সেই বৈঠকে রাজ্যপাল যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার কিছুই পূরণ করা হয়নি। অতীতের নানা শুনানিতে বারবার আদালতে ভর্ৎসিত হতে হয়েছে রাজ্যপালের আইনজীবীকে। কখনও আদালত রাজ্যপালকে মুখ্যমন্ত্রীর সময়মতো তাঁকে কফি পানের আমন্ত্রণ জানানোর নির্দেশ দিয়েছে। কখনও বলা হয়েছে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে নিতে। কখনও আবার আদালতের মৌখিক নির্দেশ পালন না করায় কড়া সমালোচনায় পড়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
[আরও পড়ুন: দাসপুরে ধূপ কারখানায় বিধ্বংসী আগুন, ধোঁয়ায় ঢাকল এলাকা, ৩৫ কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা]
এদিন স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা কী অবস্থায় রয়েছে তা জানতে চায় আদালত। জবাবে রাজ্যপালের আইনজীবী জানান, রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলে স্ট্যাটাস রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টকে দেবেন। রাজ্যের তরফে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়, নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যপালের দ্বারা নিযুক্ত অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যরা ৬ মাস মেয়াদের বেশি কাজ করতে পারেন না। এই সময় আদালত পর্যবেক্ষণ জানায়, তারাও চায় না অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যরা দীর্ঘদিন থাকুন। যত দিন না স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ হচ্ছে ততদিন এই অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা চলতে পারে।
মঙ্গলবারের শুনানিতেও সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছে তারা চায় দুই পক্ষের আলোচনা এবং সহমতের ভিত্তিতেই উপাচার্য নিয়োগ হোক। এদিকে, রাজভবনের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলিতে একশ্রেণীর স্বার্থান্বেষীরা অগণিত ‘সংঘর্ষখালি’ গড়ে তুলেছে। একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তির ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলা হয়েছে, হিংসা, হুমকি ও দৌরাত্মে এই পরিস্থিতির অবসান ঘটানোই আচার্য তথা রাজ্যপালের লক্ষ্য। এই লক্ষে্যই কাজ শুরু হয়েছে।