সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির আবগারি দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল ইডি এবং সিবিআই। দুই তদন্তকারী সংস্থার কাছে শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, তদন্তের স্বচ্ছতা বলতে কী ভাবছে তারা? উল্লেখ্য, আবগারি দুর্নীতির তদন্তে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে শুরু করে একাধিক হেভিওয়েট রাজনৈতিক নেতাকে জেলে ভরেছে দুই তদন্তকারী সংস্থা। তবে দিনকয়েক আগে দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে আবগারি মামলায় জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
[আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে নিখোঁজ, পরদিন আমবাগানে উদ্ধার দুই কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ]
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মঙ্গলবার জামিন পেয়েছেন বিআরএস নেত্রী কে কবিতা। তাঁর জামিনের আবেদন নিয়ে শুনানি নিয়ে চলাকালীন ইডি ও সিবিআইকে আদালত প্রশ্ন করে, কবিতা জড়িত তা প্রমাণের জন্য কী তথ্য রয়েছে? সলিসটর জেনারেল জানান, উনি নিজের ফোন ফরম্যাট করে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছেন। তবে সরকার পক্ষের দাবি খণ্ডন করে কবিতার আইনজীবী মুকুল রোহতগি জানান, নিজের ফোন যে কেউ বদলাতে পারেন। কে কবিতার বিরুদ্ধে নিজের মোবাইলে তথ্য নষ্ট করার যে অভিযোগ উঠেছে তার ভিত্তি নেই। অযথা এই নিয়ে জলঘোলা করা হচ্ছে।
এই সওয়াল-জবাবের রেশ ধরেই গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করে সুপ্রিম কোর্ট। বি আর গভাই এবং কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ প্রশ্ন করে, প্রাক্তন অভিযুক্তের বয়ানের উপরেই কি কেবলমাত্র নির্ভর করছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো? শীর্ষ আদালতের মতে, "আপনাদের স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। নিজের কাঁধ থেকে দোষের ভার ঝেড়ে ফেলতে চেয়েছেন, তাঁদের রাজসাক্ষী করা হচ্ছে? এটা কি স্বচ্ছতা?" এই কথা বলে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজুকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, কে কবিতা যে আবগারি দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন তার প্রমাণ কোথায়? তবে অভিযুক্তদের বয়ান ছাড়া আর কোনও প্রমাণ এদিন আদালতে পেশ করতে পারেননি অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল।