সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্থিক প্রতারণা মামলায় ইডির একচ্ছত্র ক্ষমতা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, আর্থিক প্রতারণা মামলায় অভিযুক্তের যে সব নথি বাজেয়াপ্ত হচ্ছে সেগুলি তাঁকে দেওয়া হবে না কেন? এটা সংবিধানের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন নয় তো?
২০২২ সালের সরলা গুপ্ত বনাম ইডি মামলায় শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অভয় এস ওকা, বিচারপতি এ আমানউল্লাহ এবং বিচারপতি এজি মসিহের বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, "বিচার শুরু হওয়ার আগে আর্থিক প্রতারণা মামলায় গুরুত্বপূর্ণ যে সব নথি বাজেয়াপ্ত হয়েছে, সেগুলি কেন অভিযুক্তকে দেওয়া হবে না? বেঞ্চের মন্তব্য, ‘‘বিষয়টি নাগরিকের মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত।’’
[আরও পড়ুন: মাত্র দুমাসে দ্বিতীয়বার, ফের আত্মঘাতী দিল্লির ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটির পড়ুয়া]
ইডির যুক্তি অভিযুক্ত ব্যক্তি তো জানেন, তাঁর কাছ থেকে কী কী নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সে সব নথি তিনি চাইতেই পারেন। কিন্তু শুধু অনুমানের ভিত্তিতে খোঁজ করা চলবে না কী কী নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই যুক্তি শীর্ষ আদালত খারিজ করে দেয়। সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, "সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ স্বাধীনতার অধিকারের নিশ্চয়তা দেয়। একটি পিএমএলএ মামলায় আপনি হাজার হাজার নথি উদ্ধার করতে পারেন। অভিযুক্তের প্রতিটি নথির কথা মনে নাও থাকতে পারে।"
[আরও পড়ুন: পদের অপব্যবহার করে কোটি কোটি বেতন, সেবি চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক কংগ্রেস]
বস্তুত ইডির ক্ষমতা নিয়ে আগেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, পিএমএলএ মামলার ১৯ নম্বর ধারায় অভিযুক্তকে ইডি গ্রেপ্তার করতে পারবে না। শুধু তাই নয়, সুপ্রিম কোর্ট দিন দুই আগেই পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, আর্থিক প্রতারণা মামলায় জামিন পাওয়াই দস্তুর, জেল যাত্রা ব্যতিক্রম। এবার ইডির কাজের পরিধি নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলল শীর্ষ আদালত।