সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিচালক সুদীপ্ত সেনের ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবি নিয়ে প্রথম থেকেই বিতর্ক। এই ছবির মুক্তি আটকাতে এগিয়ে এসেছে কংগ্রেস এবং কেরালা বাম সরকার। এমনকী, এই ছবির মুক্তি স্থগিত রাখতে সুপ্রিম কোর্টেও মামলা দায়ের হয়েছিল। তবে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট ফুৎকারে উড়িয়ে দিল এই মামলার আবেদন। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানান, এই ছবি ইতিমধ্য়েই সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। তাই এই ছবির মুক্তি আটকানো যাবে না।
এদিন বিচারপতিদের বেঞ্চ আইনজীবী কপিল সিব্বল ও নিজাম পাশাকে জানিয়ে দিল ঘৃণা ভাষণ শোনানো এবং দেখানোর কারণে কোনও ছবির মুক্তি আটকানো যায় না। তাহলে অনেক ধরনের ঘৃণা ভাষণ এবং প্রোপাগান্ডাকে আটকাতে হয়।
[আরও পড়ুন: ‘অল্পই মদ্যপান করেছিলাম!’, বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন গায়ক নোবেল ]
অন্যদিকে, দ্য কেরালা স্টোরি পেয়েছে ‘A’ সার্টিফিকেট। শুধু তাই নয়, বিতর্ক থামাতে ছবি থেকে ১০ টি দৃশ্যকে কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারের দৃশ্যও।
পরিচালক সুদীপ্ত সেনের ‘দ্য কেরালা স্টোরি‘(The Kerala Story) ছবি ঘিরে তুমুল বির্তক শুরু হয় কেরলে। কেরলের ডিজিপি অনিলকান্ত তিরুঅনন্তপুরমের পুলিশ কমিশনার স্পারজন কুমারকে ছবিটির টিমের বিরুদ্ধে এফআইআর রেজিস্টার করারও নির্দেশ দেন। ছবিটি মুক্তি পাবে মে মাসের ৫ তারিখ। হিন্দি, তামিল তেলগু ও মালয়ালাম ভাষায় মুক্তি পাবে এই ছবিটি।
বিতর্ক উঠেছে ছবিটির গল্পকে কেন্দ্র করেই। অভিযোগ, ‘দ্য কেরালা স্টোরি (The Kerala Story) ছবির টিজারে দেখানো হয়, কেরল থেকে ৩২ হাজার মহিলাকে ধর্মান্তরিত করে নিয়ে তাদের সিরিয়া ও আফগানিস্তানে আইএসআইয়ের প্রশিক্ষণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ছবিতে কেরলকে সন্ত্রাসবাদীদের ‘সেফ হেভেন’ হিসেবে দেখান হয়েছে। এমনকী, টিজারের এক সংলাপেও আপত্তি উঠেছে। কেরালায় সাধারণ মেয়েদের ধর্মান্তরিত করে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসীতে পরিণত করার মরণখেলা চলছে, এবং টিজারে এমনটাই বলেছে এক নারী চরিত্র। যা নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয়।