shono
Advertisement

Breaking News

বিশৃঙ্খলা হতে পারে, ভোটের মুখে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে স্থগিতাদেশে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট

নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে একগুচ্ছ মামলা হয়েছে।
Posted: 02:28 PM Mar 21, 2024Updated: 03:24 PM Mar 21, 2024

সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: নির্বাচন কমিশনার (Election Commissioner) নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) একগুচ্ছ মামলা হয়েছে। ওই মামলায় ‘নিয়োগ বৈধতা’র কথা বলে কমিশনার নিয়োগে স্থগিতাদেশ চেয়েছেন মামলাকারীরা। যদিও বৃহস্পতিবার সেই আবেদন খারিজ হয়ে গেল। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, ইতিমধ্যে লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Polls) দিনক্ষণ ঘোষণা হয়েছে। ভোটের আগে কমিশনার নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ দিলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে।

Advertisement

গত ফেব্রুয়ারি মাসে অবসর নেন নির্বাচন কমিশনার অনুপ পাণ্ডে। এর পর গত মাসে আচমকাই নির্বাচন কমিশনার পদ থেকে ইস্তফা দেন অরুণ গোয়েল। লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেভাগে গোয়েলের পদত্যাগে একা পড়ে যান মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের রাজীব কুমার। যদিও গত ১৪ মার্চ নির্বাচন কমিশনের জোড়া শূন্যপদে পদে আনা হয় সুখবীর সিংহ সান্ধু এবং জ্ঞানেশ কুমারকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বধীন কমিটি এই নিয়োগ প্রক্রিয়া চালায়।

 

[আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে ‘বিকশিত ভারতে’র মেসেজ পাঠানো যাবে না, মোদির বার্তায় আপত্তি কমিশনের]

এর মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়তে থাকে কমিশনার নিয়োগ বৈধতা নিয়ে একের পর এক মামলা। মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ দাবি করেন, স্বাধীন প্যানেল এই নিয়োগ করেনি। নিয়োগ নিয়ো তাড়াহুড়ো হয়েছে। বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে কেন্দ্রের আনা নতুন আইনকে ‘ভুল’ বলা যায় না। যাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। তাছাড়া এটা ভারসাম্যের প্রশ্ন। ভোটের মুখে কমিশনারদের সরিয়ে দিলে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়তে পারে।

 

[আরও পড়ুন: ‘ছক করে কংগ্রেসকে গুঁড়িয়ে দিতে চাইছেন মোদি’, অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ নিয়ে তোপ সোনিয়া-খাড়গের]

প্রসঙ্গত, বিরোধীদের অভিযোগ নরেন্দ্র মোদি সরকারের আনা নয়া আইনের বলে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ কমিটিতে ছড়ি ঘোরাচ্ছে শাসক দল তথা প্রধানমন্ত্রী। যেহেতু নতুন আইনে দেশের প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই কমিটি থেকে। এর ফলেই টটজলদি দুই কমিশনার নিয়োগে প্রশ্ন তুলছে বিরোধী মহল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement