সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানোর আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, "আইনগতভাবে এই আর্জি মানা সম্ভব নয়। এভাবে কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে পদ থেকে সরানো যায় না। ওই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন শুধুই দিল্লির উপরাজ্যপাল। আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারব না। "
কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) আবগারি দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার হওয়ায় দিল্লিতে কার্যত সাংবিধানিক সংকটের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ কেজরিকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর দাবিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার ওই জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, কেউ মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকবেন কিনা, সেটা আদালতের বিচার্য নয়। সেটা প্রশাসনেরই অন্য অংশ ঠিক করবে।
[আরও পড়ুন: ‘পার্থ ভৌমিককে ভোট দিন’, রাজের সঙ্গে ভোটপ্রচারের গাড়িতে গলা ফাটালেন ‘মিঠাই’ সৌমিতৃষা!]
শীর্ষ আদালত (Supreme Court) বলছে, এটা কার্যকরী প্রক্রিয়া নয়। মুখ্যমন্ত্রী পদে কেজরিওয়ালকে সরানোটা আইনিভাবে সম্ভব নয়। সুপ্রিম কোর্ট ইঙ্গিত দিয়েছে, দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা চাইলে পদক্ষেপ করতে পারেন। তবে সুপ্রিম কোর্ট তাতে হস্তক্ষেপ করবে না।
[আরও পড়ুন: বইয়ের প্রচ্ছদে পুরুষাঙ্গের আদলে রবীন্দ্রনাথের মুখ! নিন্দায় সরব বাঙালি সমাজ]
এর পরও কেজরির সংকট পুরোপুরি কাটছে না। দেশের ইতিহাসে অরবিন্দ কেজরিওয়ালই প্রথম যিনি মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) পদে থাকাকালীন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর আগে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে ইডি গ্রেপ্তার করলেও গ্রেপ্তারের আগে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। আদালত এদিন কেজরিকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে না সরালেও দিল্লির উপরাজ্যপাল ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, জেল থেকে কাউকে সরকার চালাতে তিনি দেবেন না। যদিও এই মুহূর্তে জামিনে মুক্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।