সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জামিন পেয়েছেন মহম্মদ জুবেইর (Mohammad Zubair)। যদিও পাটিয়ালা হাউস কোর্টের আরেকটি মামলার শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় আপতত জেলেই থাকতে হচ্ছে অভিযুক্ত সাংবাদিককে। এমন পরিস্থিতিতে জামিন বিধি (Bail Act) নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করল শীর্ষ আদালত। কেন্দ্রকে জামিন বিধি পর্যালোচনার বার্তা দিলেন বিচারপতিরা। এইসঙ্গে আদালতের মন্তব্য, কোনও দিন দেশ যেন ‘পুলিশি রাষ্ট্র’ না হয়ে যায়! এইসঙ্গে অকারণ গ্রেপ্তারি এড়ানোর কথা বলল আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কৌল (Sanjay Kishan Kaul), এমএম সুন্দরেশ (MM Sundresh) বিচার প্রক্রিয়ার বেশ কয়েকটি ক্ষেত্র নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনায় অভিযুক্তরা যাতে সুবিচার পান, সেই বিষয়টি নিয়ে একাধিক বার্তা দেওয়া হয় এদিন আদালতের তরফে। বিচারপতিরা অকারণ গ্রেপ্তরি এড়ানোর প্রসঙ্গ তোলেন। বলেন, বিশেষত যে সব ক্ষেত্রে সাত বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে অপরাধীর। এক্ষেত্রে বিচার বিধি নিয়ে ভাবনার অবকাশ রয়েছে। বিচারপতি কৌল ও বিচারপতি সুন্দরেশ উল্লেখ করেন, অসংখ্য গ্রেপ্তারির কারণে দেশের সমস্ত জেল ভরতি হয়ে যাচ্ছে। গ্রেপ্তারির বিষয়ে আরও সংযত হতে হবে। এতে নাগরিক অধিকার চূড়ান্তভাবে খর্ব হয়।
[আরও পড়ুন: ৭৫ মিনিটে পৌঁছনো যাবে কলকাতায়, দেওঘরে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন মোদির]
আদালতের বক্তব্য, শেষ পর্যন্ত অপরাধমুলক ঘটনায় দোষীর সংখ্যা কিন্তু নগণ্য, অথচ সেই তুলনায় অভিযুক্ত অনেকটাই বেশি। কিছু ক্ষেত্রে গ্রেপ্তারি এড়ানো সম্ভব বলেও মন্তব্য করে আদালত। দেশের সমস্ত আদালত যাতে অপরাধমূলক মামলায় একইরকম পদক্ষেপ করে, সেই দিকে নজর দিতে বলা হয় আদলতের তরফে। এছাড়াও তদন্তকারীদের উদ্দেশে আদালতের বার্তা, কঠিন মনোভাব নিয়ে দ্রুত সঠিক তদন্ত করতে হবে। এরপরেই সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য, “গণতান্ত্রিক দেশ যেন কখনওই ‘পুলিশি রাষ্ট্র’ না হয়ে ওঠে। কারণ তা গণতন্ত্রের পরিপন্থী।”
[আরও পড়ুন: গোয়ায় আপাতত ভাঙন রুখল কংগ্রেস! বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক সোনিয়ার দূত মুকুলের]
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে বহু রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য, সমাজকর্মী, সাংবাদিক দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন। এমন সময় বিচারাধীন বন্দিদের জামিনের আইন নিয়ে নতুন ভাবনা, তথা কেন্দ্রকে বিধি পর্যালোচনার সুপারিশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।