সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়ে আসা বিলে ছাড়পত্র দিতে গড়িমসি কেন? ফের সুপ্রিম কোর্টে ধমক খেলেন পাঞ্জাবের রাজ্যপাল বানওয়ারিলাল পুরোহিত। আদলতের বক্তব্য,”আপনি আগুন নিয়ে খেলছেন। আমাদের দেশ একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে চলে। সেই পদ্ধতি মেনেই চলতে দিন।”
পাঞ্জাবের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অন্তত ৭টি বিল আটকে রাখার অভিযোগ রয়েছে। ওই বিলগুলি রাজ্য বিধানসভার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্যপাল বিল আটকে রাখায় রাজ্যে অচলবস্থা তৈরি হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পাঞ্জাবের আপ (AAP) সরকার। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই রাজ্যপালকে কড়া কথা শোনাল শীর্ষ আদালত।
[আরও পড়ুন: সিরিয়ায় মার্কিন বিমানহানায় মৃত ৯, এবার সম্মুখ সমরে ইরান-আমেরিকা?]
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrahud) নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যপাল বনওয়ারিলাল পুরোহিতকে মনে করিয়ে দিল, বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল অনন্তকাল আটকে রাখা যায় না। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, আমাদের গণতন্ত্রে কাজ করার কিছু প্রথা এবং রীতি আছে। সেটা ভেঙে দেওয়া যায় না। রাজ্যপালের আচরণে আদালত যে অখুশি সেটাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য,”পাঞ্জাবে যা হচ্ছে, তাতে আমরা একেবারেই খুশি নই। এটা গভীর উদ্বেগের বিষয়।”
[আরও পড়ুন: ‘সব ভুলে এগিয়ে চলো’, রাহুলের উপদেশে দ্বন্দ্ব ভুলেছেন শচীন]
প্রশ্ন হচ্ছে, পাঞ্জাবের রাজ্যপালকে সুপ্রিম তিরস্কারের প্রভাব কি এরাজ্যের রাজনীতিতেও পড়বে? পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পাশ হওয়া ২২টি বিল রাজভবনে আটকে। রাজ্য মনে করছে, চাপের মুখে পড়ে রাজ্যপাল এবার বিলগুলি ছেড়েও দিতে পারেন। আটকে থাকা বিলগুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হাওড়া ও বালি পুরসভাকে একত্রিত করার ২ বিল, মুখ্যমন্ত্রীকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করা সংক্রান্ত আটটি বিল। এছাড়াও আটকে রয়েছে উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত সার্চ কমিটি নিয়ে বিল। রাজ্যপালও অবশ্য দ্রুততার সঙ্গে বিলগুলি ছেড়ে দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছেন।