বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: গণপ্রহার-সহ আটটি বিল রাজভবনে বন্দি দীর্ঘদিন ধরে। রাজ্যের তরফে বারবার অনুরোধ সত্বেও তাতে অনুমোদন দিতে গড়িমসি করছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এবার সেই মামলা গড়াল সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্যের আবেদন মঞ্জুর করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। রাজ্যের আইনজীবী আশা শর্মা এপ্রিল মাসে তিন বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে আবেদন করেন। তা গ্রহণ করে শুক্রবার প্রধান বিচারপতি মামলাটি শুনবেন বলে জানান।
২০২২ ও ২০২৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভায় (West Bengal Assembly) গণপিটুনি রুখতে একটি কড়া আইন পাশ করা হয়। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় সংশোধনী আইন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় সংশোধনী আইন ও রাজ্য নগরোন্নয়ন সংশোধনী আইন বিধানসভায় পাশ হয়েছে। কিন্তু সবই চূড়ান্ত ছাড়পত্রের অপেক্ষায় রাজভবনে (Raj Bhawan) ফাইলবন্দি হয়ে পড়ে রয়েছে। এর বেশিরভাগই অবশ্য প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) সময়ের। তখন থেকেই বিনা কারণে বিলগুলি রাজভবনে ফাইলবন্দি।
[আরও পড়ুন: ‘জয়-পরাজয় আছেই, তাই বলে অপমান নয়’, স্মৃতির পাশে দাঁড়িয়ে ‘গান্ধীগিরি’ রাহুলের]
বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। কোনও কারণ ছাড়া এতদিন বিল আটকে রাখার অধিকার রাজ্যপালের আছে কিনা, তা জানতেই শীর্ষ আদালতে যায় রাজ্য। সাধারণত কয়েকটি কারণে রাজভবন বিলে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারে। সেগুলি হলো, আইনত কোনও ধারায় সমস্যা থাকলে বিল ফেরত পাঠাতে পারেন রাজ্যপাল। আবার রাষ্ট্রপতির (President of India) অনুমোদনের প্রয়োজন হলেও তা আটকে রাখতে পারেন। কিন্তু এক্ষেত্রে কোনও কারণ না দেখিয়েই বিলগুলি আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ রাজ্যের। তাই শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপের আবেদন করা হয়েছে। এবার শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের আবেদন শুনতে রাজি হওয়ায় এনিয়ে জট কাটবে বলে আশাবাদী ওয়াকিবহাল মহল।