দীপঙ্কর মণ্ডল: যাদবপুরের (Jadavpur) উপাচার্য পদে আবারও মেয়াদ বাড়ল সুরঞ্জন দাসের (Suranjan Das)। অবসরের দিনেই আরও দু’বছর চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির খবর পেলেন তিনি। বুধবার উচ্চশিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে এই ঘোষণা করা হল।
এদিন যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে চিঠি দেয় রাজ্য উচ্চশিক্ষা দপ্তর। তাঁকে চিঠিতে জানানো হয়, আরও দু’বছর তাঁকে উপাচার্যের দায়িত্বে থাকতে হবে। উল্লেখ্য, এদিনই ছিল সুরঞ্জনবাবুর অবসর নেওয়ার দিন। আর সেদিনই সুসংবাদটি পেলেন তিনি। তবে এই নিয়েও ফের একবার রাজ্য প্রশাসন এবং রাজ্যপালের মধ্যে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। বেশ কিছুদিন আগে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে জানানো সত্ত্বেও তিনি সার্চ কমিটি গঠনের অনুমোদন দেননি বলে অভিযোগ। সুরঞ্জনবাবুর মেয়াদ বৃদ্ধিতেও সায় দেয়নি রাজভবন। তা সত্ত্বেও উচ্চ শিক্ষাদপ্তর শেষপর্যন্ত তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি করল। এমনিতেই বিভিন্ন নীতিনির্ধারণ নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজভবনের বিবাদ চলছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর মেয়াদ বৃদ্ধিতে তা আরও বাড়বে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুন: মমতার আপত্তি সত্ত্বেও বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসেই নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি]
এর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ের ঘেরাওয়ের ঘটনায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে সুরঞ্জন দাসের সঙ্ঘাত বড় আকার ধারণ করেছিল। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে ঘেরাও করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে আনতে স্বয়ং রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যান। তারপর সেখানে রীতিমতো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই ঘটনায় সুরঞ্জনকে দাসকে ডেকেও পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল। যদিও তিনি যাননি। প্রসঙ্গত, এই নিয়ে দ্বিতীয় বার মেয়াদ বাড়ল সুরঞ্জন দাসের। এর আগে ২০১৫ সাল থেকে তিনি যাদবপুরের উপাচার্যের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। এরপর ২০১৯ সালের জুনেও দু’বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল তাঁর। আর এবার আরও দু’বছরের জন্য সেই মেয়াদ বেড়ে গেল।