সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Corona Pandemic) দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে দেশের প্রত্যেকটি রাজ্যেই জারি একাধিক বিধিনিষেধ। আর সাধারণ মানুষ সেই নিয়ম মানছেন কি না তা দেখার দায়িত্ব অবশ্যই পুলিশ প্রশাসনের। কিন্তু সেই পুলিশই যদি নিয়মভঙ্গ করে! তাহলে? সম্প্রতি সুরাট (Surat) পুলিশের বিরুদ্ধে এমনই গুরুতর অভিযোগই উঠেছে। নাইট কারফিউ থাকার সময়ই নাকি তাঁরা হই-হুল্লোড় করে পার্টির আয়োজন করেছিল। ইতিমধ্যে ঘটনাটি নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আর তারপরই পুলিশ কমিশনার ইতিমধ্যে ওই ঘটনার তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি সুরাটের সিঙ্গানপুরের পুলিশ ইন্সপেক্টর এ পি সালাইয়ার ট্রান্সফার হয় ইকোনমিক অফেন্সেস সেলে। সেজন্যই তাঁর স্টেশনের পুলিশ আধিকারিকরা একটি পার্টির আয়োজন করেছিল কুমকুম নামে স্থানীয় একটি ফার্ম হাউসে। উপস্থিত ছিলেন অনেকেই।
[আরও পড়ুন: করোনার ‘সেকেন্ডারি’ সংক্রমণ প্রাণ কাড়ছে অর্ধেকের বেশি মানুষের, দাবি ICMR-এর সমীক্ষায়]
এদিকে, করোনা আবহে নিয়মানুযায়ী কোনও অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি অতিথি উপস্থিত থাকতে পারেন না। তাছাড়া নাইট কারফিউয়ের সময় সব ধরনের অনুষ্ঠানই বন্ধ রাখার নিয়মও জারি রয়েছে সুরাটে। এই অবস্থাতেই কুমকুম ফার্ম হাউসে চলে ওই পার্টি। রাতভর খানাপিনা, হই-হুল্লোড় চলতে থাকে। অংশ নেন অনেক পুলিশকর্মীই। যার ভিডিও আবার পরবর্তীতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছে। আর এরপরই নেটিজেনদের অনেকেই বিষয়টি নিয়ে উষ্মা প্রকাশও করেন। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, “নিয়ম কি শুধু সাধারণ মানুষের জন্য?” কেউ প্রশ্ন তোলেন, “পুলিশকর্মী বলেই কি তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্ত নিয়ম আলাদা?”
বিতর্কের মুখে এরপরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তেরও নির্দেশ দেন পুলিশ কমিশনার অজয়কুমার তোমার। তদন্তের নেতৃত্বে রয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার প্রবীন কুমার মাল। পাশাপাশি ওই পুলিশ ইন্সপেক্টরকে নিয়মভঙ্গের জন্য ইতিমধ্যে সাসপেন্ড করা হয়েছে।