বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: প্রবাদ আছে ‘ঠেলার নাম বাবাজি’। সুশান্ত ঘোষকে নিয়ে এখন ‘ছুঁচো গেলা’ অবস্থা সিপিএমের (CPM)। না পারছে ফেলতে, না পারছে গিলতে। উলটে তাঁকে নিয়ে কী করা যায়? ভাবতেই চুল ছিঁড়তে হচ্ছে আলিমুদ্দিনকে। একসময় গড়বেতার দোর্দন্ডপ্রতাপ এই নেতার সঙ্গে বারবার আলোচনায় বসতে হচ্ছে আলিমুদ্দিনের কর্তাদের। নিমরাজি হয়েই তাঁর দাবি মেনে নিচ্ছেন সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসুরা। সোমবারই তাঁকে জেলা পার্টির সম্পাদকমণ্ডলীতে পুর্ননিয়োগের চিঠি দেওয়া হয়।
ডিসেম্বরের ৫ তারিখ সাসপেনশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ৬ তারিখ বাড়ির পথে পা বাড়াবেন প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ (Susanta Ghosh)। খাসতালুক চন্দ্রকোনায়। ন’বছর পর। তার আগে পার্টির ম্যানেজারদের সঙ্গে দর কষাকষি সম্পূর্ণ করতে চাইছেন। দাবি করেছিলেন, সসম্মানে জেলা পার্টির সম্পাদকমণ্ডলীতে ফিরিয়ে দিতে হবে। গঠনতন্ত্র টেবিলের তলায় রেখে দাবির সমর্থনে সই করতে হয় সূর্যকান্ত মিশ্রকে।
[আরও পড়ুন : দলবিরোধী কাজ! আলিপুরদুয়ার জেলা কমিটির প্রথম বৈঠকেই সাসপেন্ড ২ তৃণমূল নেতা]
সোমবার বিকেলে আলিমুদ্দিনে যান সুশান্ত। নিজের গড়ে ফেরার আগে হিসেব বুঝে নিতে একপ্রস্থ আলোচনা করেন নেতৃত্বের সঙ্গে। তখনই জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে পুর্ননিয়োগের চিঠি হাতে পান। পরবর্তীতে রাজ্য কমিটিতেও তাঁকে নেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি আদায় করেছেন। তারপরে পার্টির হয়ে জঙ্গলমহলের দায়িত্ব তাঁর ওপরেই বর্তাবে বলে আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর।
এরমধ্যেই তৈরি হয়েছে তাঁর অনুগামী দল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে তাঁর আগমনবার্তা। সেইসঙ্গে পার্টির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে বর্ষণ করা হচ্ছে ক্ষোভ। লেখা হয়েছে, ‘মন্ত্রী হবার জন্য সুশান্ত ঘোষ কমিউনিস্ট পার্টিতে আসেননি। ৩৪ বছরের মধ্যে ১৫ বছর মন্ত্রী ছিলেন। কখনও ‘হাফ’ কখনও স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ, কখনও বা জগন্নাথ মানে ঠুঁটো পূর্ণমন্ত্রী।’ বাম মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে লেখা হয়, ‘তিনি আর পাঁচটা সিপিএম বা বামফ্রন্টের মন্ত্রীদের মতো নিজের স্বার্থে গোপনে বা প্রকাশ্যে শাসকের সঙ্গে চুক্তি করে বামফ্রন্টকে গালাগালি করতে বসেননি।’ পার্টি নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে দ্বিচারিতা করেছে বলেও অভিযোগ করা হয়।