shono
Advertisement

পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ, রবীন দেবের কৌশলে ‘ছুঁচো গেলা’দশা সূর্যকান্তর

সিপিএম জেলা সম্মেলনেই স্থির হল সম্পাদকের নাম।
Posted: 08:31 PM Feb 17, 2022Updated: 08:45 PM Feb 17, 2022

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: ‘ছুঁচো গেলা’ অবস্থা সিপিএম (CPM)রাজ্য সম্পাদকের। পার্টির অভ্যন্তরে ‘চিরশত্রু’ বলে পরিচিত সুশান্ত ঘোষকে (Susanta Ghosh)পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক পদে বসানোর সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য হলেন। ‌নেপথ্যে পার্টির আরেক কৌশলী নেতা রবীন দেব। কিন্তু শেষপর্যন্ত রবীন দেবের চালের কাছে হার মানতে হল সূর্যকান্তকে। ভোটাভুটি ঠেকাতে সুশান্ত ঘোষকেই পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদক মেনে নিতে বাধ্য হলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। নবনির্বাচিত জেলা কমিটিতে ৪১-২১ ভোটে সম্পাদক নির্বাচিত হন সুশান্ত ঘোষ। নতুন কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন সদ্য প্রাক্তন জেলা সম্পাদক তরুণ রায়। 

Advertisement

বুধবার থেকে ডেবরায় শুরু হয়েছে সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর (West Midnapore) জেলা সম্মেলন। সম্মেলনের মূল আকর্ষণ ছিল সম্পাদকের চেয়ারকে কেন্দ্র করে। সম্মেলনের শুরু থেকেই তিনজনের নাম নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। প্রথমজন, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও একসময়ে গড়বেতার বেতাজ বাদশা সুশান্ত ঘোষ। দ্বিতীয়জন, পার্টির যুব সংগঠনের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক তাপস সিনহা ও তৃতীয় ব্যক্তি ঘাটালের নেতা এবং পার্টির রাজ্য কমিটির এক সদস্যের নিকটাত্মীয় অশোক সাঁতরা। সম্মেলন শুরু হতেই সুশান্ত ঘোষ ও অশোক সাঁতরাকে নিয়ে তার আপত্তি আছে বলে জানিয়ে দেন সূর্যকান্ত মিশ্র (Suryakanta Mishra)। তিনি এবং সদ্য প্রাক্তন জেলা সম্পাদক তরুণ রায় তাপস সিনহার পাশে দাঁড়ান বলে বলে সূত্রের খবর।

[আরও পড়ুন: ‘আমি সেলিব্রিটি, বাদাম আর বেচব না’, ঘোষণা ‘বাদাম কাকু’ ভুবন বাদ্যকরের!]

আরেক রাজ্য নেতা রবীন দেবও (Rabin Deb)অশোক সাঁতরাকে নিয়ে আপত্তি রয়েছে বলে জানিয়ে দেন। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার শুরু থেকেই জেলা সম্পাদকের চেয়ার নিয়ে শুরু হয় টানাপোড়েন। কার্যত দু’ভাগে ভাগ হয়ে যায় জেলা নেতৃত্ব। আরেক প্রাক্তন জেলা সম্পাদক দীপক সরকার ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা সুশান্ত ঘোষকে চেয়ারে বসাতে উদ্যোগী হন। জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রবিন দেবের উপর ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন বলে খবর। কার্যত তাঁদের চাপে সুশান্তর পক্ষে প্রতিনিধিদের মতামত সংগ্রহ করার দায়িত্ব নিয়ে নেন রবীন দেব।

[আরও পড়ুন: দলের নির্দেশ অমান্য, প্রার্থীপদ প্রত্যাহার না করায় নদিয়ার ২৩ নির্দল প্রার্থীকে বহিষ্কার তৃণমূলের]

পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে দেখে কৌশলী চাল দেন রবীন দেব। রাজ্য সম্পাদককে জানান, সুশান্তকে জেলা সম্পাদক না করলে ভোটাভুটি‌ অবশ্যম্ভাবী। ভোটাভুটি ঠেকাতে প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান তিনি। কারণ এর আগে আলিপুরদুয়ার জেলা সম্মেলনে ভোটাভুটি ঠেকাতে পারেননি রাজ্য নেতৃত্ব। পার্টির নিচুতলার উপর রাজ্য নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে আলিমুদ্দিনের অভ্যন্তরে। এবার পশ্চিম মেদিনীপুরে ভোটাভুটি হলে রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্ব সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা যেতে পারে। এমন আশঙ্কা করেই ভোটাভুটি এড়িয়ে সুশান্ত ঘোষকে জেলা সম্পাদক করার পক্ষে মত দেন সূর্যকান্ত মিশ্র। পার্টির একাংশের ব্যাখ্যা, সুশান্ত ঘোষকে জেলা সম্পাদক করতে এবং সূর্যকান্ত মিশ্রকে নিজের দিকে টানতে ভোটাভুটির মতো শেষ অস্ত্র ব্যবহার করেন রবীন দেব।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup ছাঁদনাতলা toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার