সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার অষ্টাদশ লোকসভায় স্পিকার পদে নির্বাচিত হয়েছেন ওম বিড়লা। বিরোধীদের প্রার্থী কে সুরেশকে (K Suresh) ধ্বনিভোটে হারিয়ে স্পিকারের পদে দ্বিতীয়বার বসলেন বিড়লা। কিন্তু এখনও সাসপেন্স অব্যাহত ডেপুটি স্পিকারের পদটি নিয়ে। কে হবেন ডেপুটি স্পিকার? আদৌ ওই পদে কাউকে রাখা হবে কিনা, এখনও খোলসা করেনি সরকার। এদিকে বিরোধীরাও ওই পদটি পেতে মরিয়া।
সাধারণত, স্পিকার নির্বাচনের সাতদিনের মধ্যে ডেপুটি স্পিকার (Deputy Speaker) নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। ভারতীয় গণতন্ত্রের অলিখিত রীতি অনুযায়ী, ডেপুটি স্পিকারের পদটি দেওয়া হয়। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি সরকার গত পাঁচ বছর ডেপুটি স্পিকার পদটি ফাঁকা রেখেছিল। বস্তুত বিরোধীরা মনে করছে, ডেপুটি স্পিকার পদটি না দিয়ে আগের পাঁচ বছর তাঁদের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এবার অন্তত সরকারের উচিত ডেপুটি স্পিকারের পদটি বিরোধীদের দেওয়া।
[আরও পড়ুন: সঙ্গী গ্রেপ্তার হতেই বাংলাদেশে পালানোর ছক! STF-এর তৎপরতায় জালে মায়াপুরের ‘জঙ্গি’ হারেজ]
কেনই বা ডেপুটি স্পিকার পদ নিয়ে এত টানাটানি? কী এমন গুরুত্ব এই পদের? আসলে সংবিধানের ৯৫ (১) নম্বর অনুচ্ছেদে বলা আছে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের ক্ষমতার বিশেষ কোনও তফাৎ নেই। স্পিকারের অনুপস্থিতিতে স্পিকার সেই সব কাজ করতে পারেন যা স্পিকার নিজে করেন। স্পিকারের (Lok Sabha Speaker) অনুপস্থিতিতে ডেপুটি স্পিকার সভা পরিচালনা করার সময় স্পিকারের যাবতীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন। এমনিতে ডেপুটি স্পিকার ছাড়াও স্পিকার সভা পরিচালনার ভার সিনিয়র সাংসদদের দিতে পারেন। কিন্তু তিনি কোনওভাবেই সাংসদের সব ক্ষমতার অধিকারী হন না। ফলে ডেপুটি স্পিকার পদটি গুরুত্বপূর্ণ।
[আরও পড়ুন: জেলে বসেই PhD-এর আবেদন, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারভিউতে মাওবাদী নেতা]
বুধবারও বিজেপির (BJP) এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, ডেপুটি স্পিকার পদে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন দলের একেবারে শীর্ষস্তরের নেতারা। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বিরোধী শিবির থেকেও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, ডেপুটি স্পিকার পদটি তাঁদের দেওয়া না হলে বিক্ষোভ বাড়বে।