সুব্রত যশ, আরামবাগ: পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত অবস্থায় অ্যাডিশনাল সাব ইন্সপেক্টরের মৃত্যু। শারীরিক অসুস্থতায় প্রাণহানি নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অ্যাডিশনাল সাব ইন্সপেক্টরের মৃত্যু মানতে পারছেন না তাঁর পরিবারের লোকজন।
মৃত বছর পঞ্চাশের বুধু ভকত, কলকাতার বেহালার বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে গোঘাট থানার বদনগঞ্জ বিট হাউসের অধীনে তিলারি ক্যাম্পের অফিসার ইনচার্জ ছিলেন। গত শুক্রবার মধ্যরাতে ডিউটি সেরে তাঁর ক্যাম্পের নিজস্ব ঘরে ঘুমোতে যান। সকাল ১১টা বেজে গেলেও ডিউটিতে যোগ দেননি তিনি। বাধ্য হয়ে এক কনস্টেবল তাঁকে ডাকতে যান। দেখেন দরজা বন্ধ। তারপর গোঘাট থানায় খবর যায়। গোঘাট থানার পুলিশ এবং গোঘাট থানার ওসি এসে দরজা খোলেন। দেখেন তিনি অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছে। তারপর তাঁকে কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তারপর তাঁর দেহ আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: মাঠে খেলা চলাকালীন বিপত্তি, ক্যাচ ধরতে গিয়ে চন্দননগরে মৃত্যু উঠতি ক্রিকেটারের]
ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর পুলিশমহলে চাঞ্চল্য ছড়ায়। কী কারণে মৃত্যু হল পুলিশকর্মীর তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। গোঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ শৈলেন্দ্র উপাধ্যায় জানান, “বুধু ওই ক্যাম্পেরই একটি রুমে আলাদাভাবে থাকতেন। বেলা ১১টা বাজলেও তিনি অফিসে আসেননি। তখন তাকে খুঁজতে গিয়ে অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া যায়। তারপরে তাঁকে আমরা কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসি। কিন্তু চিকিৎসকরা পরীক্ষা করার পর মৃত বলে জানান।”
আরামবাগ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অভিষেক মণ্ডল জানান, “যেকোনো মৃত্যুই বেদনাদায়ক। আমরা জানতে পেরেছি উনি জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন। হয় তো সে কারণে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। ময়নাতদন্তের পর সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।” মাত্র দশদিন আগেই ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলেন ওই পুলিশকর্মী। দু’দিন আগে কাজে যোগ দেন। তারপরই এই দুঃসংবাদে হতাশ নিহতের পরিবারের লোকজন।