শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ির চালসায় গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhiakari)। ‘চোর’ বলে স্লোগান তুলে তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরা হয়। পাশাপাশি রাস্তা আটকে ১০০ দিনের টাকার দাবি তোলেন সেখানকার শ্রমিকরা। পরে অবশ্য পুলিশের তৎপরতায় বিক্ষোভ এড়িয়ে তিনি সেখান থেকে চলে যান। তবে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বেশ মস্করা শুরু হয়েছে। শুভেন্দুর সফরের আগে সেখানকার তৃণমূলের (TMC) নেতৃত্বে মাইকিং চলে জনসচেতনতার লক্ষ্যে। জানানো হয়, সবচেয়ে বড় চোর আসছে, নিজেদের জিনিসপত্র সাবধানে রাখবেন।
এদিন মালবাজারের চা শ্রমিকদের এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি। তার আগেই চালসায় এই প্রচার চলে। মাইকিং করে তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকরা বলতে থাকেন, “আজ সোনার গয়না পরে কিংবা মানিব্যাগ নিয়ে রাস্তায় সাবধানে চলাচল করবেন। আজ সকলে বাড়ির দরজা ভালো করে বন্ধ করে রাখবেন। চালসায় বাংলার সবথেকে বড় চোর এসেছে।” স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের এই কাণ্ড সোশাল মিডিয়াতেও ভাইরাল (Viral) হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের রাজ্য আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য নিজে সেই ভিডিও শেয়ার করেছেন।
[আরও পডু়ন: শুধু মমতা নন, দিল্লিতে মোদির সঙ্গে বৈঠকে থাকবেন অভিষেকও]
এর পর ডুয়ার্সের চা শ্রমিকদের সভায় আসার পথে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিরোধী দলনেতা। তাঁর কনভয় লক্ষ্য করে চা বাগানের শ্রমিকরা ১০০ দিনের কাজের টাকা দাবি করেন। ১৭ নং জাতীয় সড়কের পাশে সোনগাছি চা বাগান মোড়ে শতাধিক শ্রমিক ১০০ দিনের জবকার্ড হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কাজের টাকা পাওয়ার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। শ্রমিকদের দাবি, প্রায় দু বছর ধরে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ রয়েছে পাশাপাশি যা কাজ হয়েছে তারও টাকা পাননি। তবে বিক্ষোভ এড়িয়ে দ্রুতগতিতে সভাস্থলের দিকে বেরিয়ে যায় শুভেন্দুর কনভয়।
[আরও পডু়ন: বাগানে ‘সৌরভ’ ছড়াবে অমর একাদশ, মূর্তি উন্মোচনে মহারাজ]
এনিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, ”আজ জলপাইগুড়ি জেলার চালসাতে বাংলার সব থেকে বড় চোর গিয়েছে। এই উপলক্ষে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সোশাল মিডিয়া ও আইটি সেল এলাকার সাধারণ মানুষকে সচেতন করার নাগরিক কর্তব্য পালন করেছে।”
দেখুন ভিডিও: