নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: মঙ্গলবারই বাংলার বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। সংসদ চলাকালীন সময় বের করে তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা জানিয়েছেন। বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্ব বাংলার সব সাংসদই যাবেন মোদির ডাকা আলোচনা চক্রে। কিন্তু তার আগে ফের কৌশলী চাল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। সোমবারই তিনি তড়িঘড়ি দিল্লি গিয়েছেন। সূত্রের খবর, সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে কথা বলেছেন শুভেন্দু। বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
বঙ্গ বিজেপিতে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তা, দলকে না জানিয়ে একাধিক কর্মসূচি পালন-সহ নানা অভিযোগ রয়েছে। আরও চওড়া হয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। সেসবের বিহিত করতেই পালটা কৌশল নিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদাররা (Sukanta Majumdar)। প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে তাঁরা সময় চেয়েছিলেন। সেইমতো মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ বাংলার সাংসদদের সঙ্গে দেখা করার কথা জানিয়েছেন মোদি। এ রাজ্যের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্টও নিতে পারেন তিনি।
[আরও পড়ুন: বাবা হতে তান্ত্রিকের নির্দেশেই নরবলি! তিলজলায় শিশু খুন নিয়ে বিস্ফোরক দাবি ধৃতের]
কিন্তু সেসবের আগে সোমবারই দিল্লি (Delhi) উড়ে গেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, সংসদে তিনি অমিত শাহর (Amit Shah)সঙ্গে দেখা করে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে কথা বলেছেন। এছাড়া জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এরপর উপরাষ্ট্রপতি জগদীপর ধনকড়ের সঙ্গে দেখা করে সৌজন্য বিনিময়ে করেন শুভেন্দু। সূত্রের খবর, এদিন সংসদে রেলমন্ত্রী অশ্বিণী বৈষ্ণবের সঙ্গেও তিনি সাক্ষাৎ করেছেন। দেশপ্রাণ এলাকায় রেললাইন নিয়ে কথা বলেন। রেলমন্ত্রীর আশ্বাস, বিষয়টি নিয়ে তিনি দেখবেন।
ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মত, সুকান্তরা তাঁর বিরুদ্ধে মোদির কাছে নালিশ করতে পারেন, এই আশঙ্কা থেকে শুভেন্দু নিজেই আগেভাগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ছুটেছেন। রাজ্যে চলতে থাকা রাজনৈতিক ঘটনাবলি সম্পর্কে তাঁকে অবগত করে বাড়তি নম্বর আদায় করাই কি উদ্দেশ্য? যাতে সুকান্তদের নালিশের জেরে তাঁর প্রতি কোনও ইমেজ যেন টাল না খায়? অমিত শাহ, নাড্ডার সঙ্গে তাঁর এই আচমকা সাক্ষাতে এসব প্রশ্নই উঠছে।