সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পরিবারও কি বিজেপিতে যোগ দেবেন? নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়কের দলবদলের পর থেকেই এই প্রশ্নটা উঠছিল। খড়দহের সভা থেকে সেই জল্পনা আরও উসকে দিলেন শুভেন্দু অধিকারি। মঙ্গলবারের সভা থেকে ফের একবার রাজ্য থেকে তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করার ডাক দেন তিনি। শুভেন্দুর কথা, “বুয়া-ভাতিজার সরকারকে হারাতে মাঠে নেমেছি। এই সরকার আর ফিরবে না।”
এদিন সন্ধেয় টিটাগড়ের পুলিশ ফাঁড়ি থেকে বিজেপির রোড শো শুরু হয়। শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি ব়্যালিতে ছিলেন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়, সাংসদ অর্জুন সিং, সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ও মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়। সভা থেকে তৃণমূল সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন শুভেন্দু-সহ বাকি নেতারা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও পালটা জবাব দেন শুভেন্দু।
[আরও পড়ুন : ‘বিজেপি যোগ তৈরির চেষ্টা দুঃখজনক, দিদির সঙ্গে আছি’, টুইটে অবস্থান স্পষ্ট করলেন জিতেন্দ্র]
ভাষণের শুরুতেই শুভেন্দু জানান, রাজ্যজুড়ে ১৩৫ জন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। মণীষ শুক্লা-সহ তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। টিটাগড়ে খুন হওয়া মণীষ শুক্লার সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথাও তুলে ধরেন তিনি। বলেন অর্জুন সিংয়ের কথাও। শুভেন্দুর কথায়, “অর্জুন সিংয়ের নামে ১০০ মামলা করেছে। অধিকাংশ আত্মীয় জেলে তবুও তিনি লড়াই করছেন।” এরপরই নাম না করে ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন তিনি।
সভা থেকে সারদা-নারদা মামলা নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, “রাজ্যে সিন্ডিকেট তোলাবাজির সরকার চালাচ্ছে বুয়া-ভাতিজা। তাঁদের হঠাতেই মাঠে নেমেছি।” প্রাক্তন বিধায়কের আরও অভিযোগ, “রাজ্যের হিন্দিভাষী মানুষকে বহিরাগত বলছে রাজ্য সরকার।” জেপি নাড্ডার গাড়ি ভাঙা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ‘অপমান’-সমস্ত ইস্যুতে রাজ্যে ক্ষমতাসীন সরকারকে তুলোধোনা করেন তিনি।
[আরও পড়ুন : পশু চিকিৎসায় বিপ্লব! কলকাতায় তৈরি হল পোষ্যদের রক্তের তথ্য ব্যাংক]
তবে এদিন সভা থেকে তাঁর একটি মন্তব্য দলের অন্দরে জল্পনা বাড়িয়েছে। এদিন শুভেন্দু তৃণমূল নেতা সৌগত রায়কে বিঁধতে গিয়ে বলেন, “এখনও বাসন্তী পুজো আসেনি, রামনবমী বাকি আছে। তখন আমার বাড়িতে পদ্ম ফুটবে।” যদিও এরপরই শুভেন্দু বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে অকৃতদার। আমার পরিবার মানে সাধারণ মানুষ।” তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে শুভেন্দু বলেন, “বাবুসোনা, সময় আসুক আপনার হরিশ চ্যাটার্জি রোডের বাড়িতেও পদ্মফুল ফোটাব।”