সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এবার শাসকদলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। জেলায় জেলায় তৃণমূলের বিধায়করা সকলেই এজেন্টের কাজ করেছেন বলে দাবি তাঁর। রীতিমতো হিসেবনিকেশ দিয়ে শুভেন্দুর দাবি, ”যা পরিস্থিতি, তাতে আগামী ৬ মাসের মধ্যে বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা একশোয় নেমে যাবে।” তাঁর এই মন্তব্যে স্বভাবতই ফুঁসছে ঘাসফুল শিবির। রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের দাবি, ”মানসিকভাবে অসুস্থ শুভেন্দু। উনি আগে নিজে আয়নার সামনে দাঁড়ান, তারপর কথা বলবেন।”
শুক্রবার থেকে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। শনিবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষ ঘনিষ্ঠ গোপাল দলপতির পূর্ব মেদিনীপুরের বাড়ি ও কলকাতায় তাঁর স্ত্রীর হৈমন্তীর ফ্ল্যাটে চলে তল্লাশি। এছাড়া নলহাটির তৃণমূল নেতা বিভাস রায়চৌধুরীর বাড়িতে সিবিআই গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় দীর্ঘক্ষণ। তাঁর আমহার্স্ট স্ট্রিটের ফ্ল্যাটেও অভিযান চলে। জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়ি সংলগ্ন পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে ৬ টি ব্যাগ। তাতে নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র রয়েছে বলে মনে করছে সিবিআই (CBI)।
[আরও পড়ুন: ‘কাবুলিওয়ালা’ মিঠুন, প্রবীর রায়চৌধুরী হয়ে ফিরছেন প্রসেনজিৎ, ঘোষিত একগুচ্ছ বাংলা ছবি]
এই পরিস্থিতিতে পয়লা বৈশাখের সন্ধেয় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যে ভাষায় শাসকদলের বিধায়কদের নিশানা করলেন শুভেন্দু, তা যথেষ্ট বিস্ফোরক। তাঁর কথায়, ”জেলায় জেলায় তৃণমূল বিধায়করা সবাই এজেন্টের কাজ করতেন। অন্তত ১০০ জন বিধায়ক এজেন্টের কাজ করতেন। চাকরির নামে প্রত্যেকের থেকে ১৫-১৮ লক্ষ টাকা তুলে ১০ লক্ষ টাকা কালীঘাটে পৌঁছে দিতেন, বাকি ৫ থেকে ৮ লক্ষ টাকা নিজেরা রাখতেন। আজ পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে। এবার সকলেই জেলবন্দি হবেন। আগামী ৬ মাসের মধ্যে বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়কের সংখ্যা নেমে যাবে একশোয়।”
[আরও পড়ুন: নিজেকেই ধ্বংস করছিল শরীর! কিশোরীকে বাঁচালেন বাঙুরের চিকিৎসক]
উল্লেখ্য, শুক্রবার সিউড়ির জনসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তৃণমূল সরকারকে নিশানা করে বলেছিলেন, ”চব্বিশের লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে ৩৫ আসনে জেতান বিজেপিকে, ২০২৫এ মমতা সরকারের পতন হবে।” তৃণমূল শিবির এই মন্তব্যকে সরকার ফেলার বড়সড় ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখেছিল। এবার বিরোধী দলনেতা শোনালেন বিধানসভায় সংখ্যাতত্বের কথা। বিধানসভা তৃণমূল বিধায়কের সংখ্যা ১০০-এ নেমে যাওয়ার অর্থ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানো। তবে কি সত্যিই সরকার ভাঙার ষড়যন্ত্র চলছে গেরুয়া শিবিরে? প্রশ্ন উঠছে।