ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: রাজ্যের নতুন স্বাস্থ্য অধিকর্তার নাম ঘোষণা করল স্বাস্থ্যভবন। ডেপুটি ডিরেক্টর ডাক্তার দেবাশিস হালদারকে স্বাস্থ্য অধিকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে স্বাস্থ্য অধিকর্তা পদে যিনি ছিলেন, সেই ডাঃ সিদ্ধার্থ নিয়োগীর মেয়াদ শেষ। তিনি অবসর নিচ্ছেন। সেই কারণে তাঁর জায়গায় নতুন দায়িত্বে আনা হল ডাক্তার দেবাশিস হালদারকে। সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানিয়েছে স্বাস্থ্যভবন।
পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapore) CMOH-এর দায়িত্বে থাকার সময় একাধিক ভালো কাজে সুনাম কুড়িয়েছিলেন ডাক্তার দেবাশিস হালদার। তার নিরিখেই তাঁর পদোন্নতি হয়। স্বাস্থ্যভবনের অতিরিক্ত উপ-সচিব (Additional Deputy secreatary)হিসেবে যোগ দেন। এর পর ডেপুটি ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেন। এবার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার নিরিখে তাঁকেই রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা পদে বসানো হল। যদিও দেবাশিস হালদারের এই নিয়োগ রুটিন রদবদল, তবে আর জি কর (RG Kar Hospital) কাণ্ডের মাঝে এই নিয়োগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার সংসদে ভারতীয় সিনেমার প্রতিনিধি রানি-করণ, কী বলবেন সেখানে?]
শুধু নতুন স্বাস্থ্য অধিকর্তাই নয়, এদিন স্বাস্থ্যভবনের তরফে কলকাতার একাধিক মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতালের বিভিন্ন পদে রদবদল করা হয়েছে। স্বাস্থ্যভবনের (Swasthya Bhaban) ওএসডি পদেও বদল হয়েছে। ওএসডি সুহৃতা পালকে আর জি কর মেডিক্যালের অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছে। ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ ডাক্তার অজয় রায়কে ওএসডি (OSD) পদে আনা হয়েছে। এছাড়া আর জি করের ঘটনার তদন্তের গতিপ্রকৃতি নজরে রাখতে স্বাস্থ্যভবনের তরফে আলাদা কমিটিও গঠিত হয়েছে। সোমবার স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, তা কাটাতে স্বাস্থ্যসচিবকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন বলে সূত্রের খবর।