সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জনসমক্ষে সম্পূর্ণ মুখঢাকা পোশাক নিষিদ্ধ হল সুইজারল্যান্ডে (Switzerland)। রীতিমতো ভোটাভুটি করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। রবিবার হওয়া গণভোটে দেখা গিয়েছে এবিষয়ে মতামত দু’দিকেই প্রায় সমান। তবে সামান্য এগিয়ে এই ধরনের পোশাকের বিরোধীরা। তাই শেষ পর্যন্ত ভোটের ফলকে মেনে নিয়ে ওই ধরনের পোশাকের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হল সেদেশে।
সব মিলিয়ে ১৪ লক্ষ ২৬ হাজার ৯৯২ জনের মতে এই ধরনের পোশাক নিষিদ্ধ করা হোক। নিষেধাজ্ঞা চাননি ১৩ লক্ষ ৫৯ হাজার ৬২১ জন। শতাংশের হিসেবে ৫১.২১ শতাংশ মানুষ রায় দিয়েছেন মুখঢাকা পোশাক নিষিদ্ধ করার পক্ষে। বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৫০.৮ শতাশ। ইতিমধ্যেই এই ধরনের পোশাককে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ইউরোপের অনেক দেশেই। এমনকী, কোনও কোনও মুসলিম অধ্যুষিত দেশেও। আসলে গত কয়েক বছর ধরে বাড়তে থাকা জঙ্গি হামলার কারণে এই ধরনের পোশাকের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে অনেক দেশই। তাদের মধ্যে সুউজারল্যান্ডও ছিল। অবশেষে সেখানে নিষিদ্ধ হল বোরখা, হিজাবের মতো পোশাক।
[আরও পড়ুন: ইরাকে খ্রিস্টানদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মুসলিম ধর্মগুরুর সঙ্গে বৈঠকে পোপ]
কিন্তু ‘সম্পূর্ণ মুখঢাকা পোশাক নিষিদ্ধ হোক’ এই নির্দেশিকাতে কোথাও বোরখা কিংবা হিজাবের উল্লেখ না থাকলেও স্পষ্ট যে ওই ধরনের পোশাককে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবই দেওয়া হয়েছিল। এমনকী নিষিদ্ধকরণের প্রচারের পোস্টারেও কালো বোরখা পরিহিত একটি মেয়ের মুখই দেখা গিয়েছে। যদিও বিরোধীদের মত, এটা একটা ‘অবাস্তব, অপ্রয়োজনীয় ও ইসলামোফোবিক বোরখা-বিরোধী’ আইন। যদিও সেদেশের আইনমন্ত্রীর কথায়, ”এই ভোট ইসলাম-বিরোধী নয়।”
নতুন এই আইন অনুযায়ী, দোকান কিংবা খোলা স্থানে সম্পূর্ণ মুখঢাকা পোশাক পরা যাবে না। তবে ব্যতিক্রম রয়েছে। ধর্মীয় স্থানে এই ধরনের পোশাক পরায় কোনও বাধা নেই। তাছাড়া স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার কারণেও এই ধরনের পোশাক পরা যেতে পারে। প্রসঙ্গত, করোনার ধাক্কায় মাস্ক পরা অবশ্য এখনও চালু রয়েছে সুইজারল্যান্ডে।