সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভালবাসার। বিশ্বাসের। কিন্তু সেই বিশ্বাস যেদিন টলে যায়, বিচ্ছেদ হয়ে যায় মানুষ দু’টির। কিন্তু এ আবার কে কবে শুনেছে যে বিচ্ছেদ হওয়ার পর স্ত্রী স্বামীর যৌনাঙ্গ কেটে নিয়েছে! তবে এমন ঘটনা আমাদের দেশে ঘটেনি। ঘটেছে সুদূর থাইল্যান্ডে।
[ আরও পড়ুন: বোমায় বিধ্বস্ত বাড়ি, টি-শার্ট খামচে ৭ মাসের বোনকে বাঁচানোর লড়াই খুদের ]
বিয়ে হয়েছিল বহুদিন আগেই। কিন্তু স্ত্রীয়ের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না চে-র। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এভাবে তো আর সংসার চলতে পারে না। তাই বিচ্ছেদ হলেই সবদিক থেকে মঙ্গল। মতান্তর হয়নি স্ত্রী লিয়ের সঙ্গেও। তিনি বোধহয় বুঝেছিলেন বিচ্ছেদই একমাত্র পথ। সেইমতো আইনি বিচ্ছেদ হয় তাঁদের। বয়সের ভারে এখন তাঁরা নুব্জ। স্বামীর বয়স ৫৮ বছর। কিন্তু প্রেম তো আর বয়স দেখে আসে না। তাই বৃদ্ধ বয়সেও ছাদনাতলা গিয়েছিলেন চে। তাতেই হয় যত গন্ডগোল। প্রথম স্ত্রী স্বামীর পুনর্বিবাহ মেনে নিতে পারেননি। তাই এমন কাণ্ড তিনি ঘটালেন, যা দেখে গোটা দুনিয়া হতবাক।
প্রাক্তন স্বামী চে-র দ্বিতীয় বিয়ের দিন আসরে আচমকাই উদয় হন প্রথম স্ত্রী লি। চে-কে তিনি ছাদনাতলা থেকে টেনে নিয়ে যান বাথরুমে। সেখানে খানিক বাগবিতণ্ডা। তারপর ঝোপ বুঝে কোপ। ব্যাগ থেকে ব্লেড বের করে লি চালিয়ে দেন চে-র পুরুষাঙ্গে। মুহূর্তে রক্তারক্তি। কিন্তু লিয়ের সেদিকে ভ্রুক্ষেপ ছিল না। তিনি তখন সেই কাটা পুরুষাঙ্গ কমোডে ফ্লাশ করতে ব্যস্ত। কার্যোদ্ধার করে নিজের দিকে মন দেন তিনি। ব্যাগেই ছিল ঘুমের ওষুধ। তারই কয়েকটা টপাটপ মুখে পুরে দেন। কিন্তু আত্মহত্যা আর করা হল কই?
[ আরও পড়ুন: দক্ষিণ এশিয়ায় বন্যায় মৃত ৬০০, ঘরছাড়া আড়াই কোটি মানুষ ]
চে-র হবু স্ত্রী ততক্ষণে পুলিশে খবর দিয়েছেন। লিয়ের আত্মহত্যার আগেই নাটকে প্রবেশ উর্দিধারীদের। সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করে চে ও লিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু কেন এমন করলেন লি? চে-র প্রাক্তন স্ত্রীয়ের বক্তব্য, “এতদিন চে আমার স্বামী ছিল। ওর যৌনাঙ্গেও আমার অধিকার। বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও অধিকার আমি ছাড়তে পারব না। ও যাতে অন্য কোনও মেয়েকে যৌনসুখ না দিতে না পারে, তার জন্যেই ওর যৌনাঙ্গ কেটে দিয়েছি।”
The post ‘ওর যৌনাঙ্গে শুধু আমার অধিকার!’, স্বামীর লিঙ্গ কেটে কমোডে ফেলল মহিলা appeared first on Sangbad Pratidin.