সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানের (Afghanistan) প্রায় ৮৫ শতাংশ অঞ্চল দখলে। লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে পাশের দেশগুলিতে আশ্রয় নিচ্ছে সরকারি বাহিনীর সৈনিকরা। উদ্বেগ উসকে এমনটাই দাবি করেছে তালিবান (Taliban)।
[আরও পড়ুন: শেষ আমেরিকার ‘মিশন আফগানিস্তান’, তালিবানি সন্ত্রাস রুখতে পাশাপাশি ভারত-রাশিয়া]
ইতিমধ্যে আফগানিস্তান থেকে ৯০ শতাংশ সেনা প্রত্যাহার করেছে মার্কিন ফৌজ। ন্যাটো বাহিনীর জওয়ানরাও নিজের নিজের দেশে ফিরে গিয়েছেন। ফলে তালিবানের বিরুদ্ধে কার্যত একা লড়াই করছে ‘আফগান ন্যাশনাল আর্মি’ বা সরকারি বাহিনী। আর তারা যে কোণঠাসা তা স্পষ্ট। তালিবানের দাবি, দেশটির অধিকাংশ জায়গায় ফের নিজেদের আধিপত্য স্থাপন করেছে তারা। এর মধ্যে ইরান সীমান্ত লাগোয়া ইসলাম কালাও রয়েছে। বিপদ আঁচ করতে পেরে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন আফগান নাগরিকরা। রাশিয়ার মস্কোয় তালিবানের এক প্রতিনিধি দল জানিয়েছে, দেশের ৩৯৮টি জেলার মধ্যে ২৫০টিই তাদের দখলে চলে এসেছে। কোন কোন জেলা এর মধ্য পড়ছে, আফগান সরকার এখনও পর্যন্ত তা নিশ্চিত ভাবে জানাতে পারেনি। তবে ওই সব এলাকা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী তারেক আরিয়ান।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ৯/১১ হামলার পর ‘মিশন আফগানিস্তান’ শুরু করে মার্কিন ফৌজ। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ জুনিয়রের নেতৃত্বে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে আমেরিকা। আফগান মিলিশিয়াদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মাস খানেকের লড়াইয়ের পর তালিবানকে কাবুল থেকে বিতাড়িত করে মার্কিন ফৌজ। কিন্তু তারপর পরিস্থিতি পালটেছে। প্রায় দুই দশক কেটে গেলেও তালিবানের বিনাশ সম্ভব হয়নি। আর লাগাতার যুদ্ধে অর্থনৈতিক চাপের মুখে পড়েছে ওয়াশিংটন। ফলে তালিবানের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে এবার দেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে হোয়াইট হাউস। আগে প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানিয়েছিলেন যে সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখের মধ্যে সেনা প্রত্যাহার শেষ হবে। কিন্তু বৃহস্পতিবার তিনি জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময়ের আগে অর্থাৎ আগস্টের ১ তারিখের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে ফিরে আসবে মার্কিন ফৌজ।