সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানে নারীদের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (United Nations Security Council)। কিন্তু সেই প্রস্তাবকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে পত্রপাঠ উড়িয়ে দিল তালিবান। আফগান নারীদের পড়াশোনা, সরকারি চাকরি এবং চলাফেরার স্বাধীনতা- সমস্ত ক্ষেত্রেই বাধা সৃষ্টি করছে তালিবান। এই মর্মে একটি প্রস্তাব পাশ করে নিরাপত্তা পরিষদের পনেরোটি সদস্য দেশ। সকলেই এই প্রস্তাবে ঐকমত্য পোষণ করে।
মঙ্গলবার তালিবানের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পেশ করে বলা হয়, আফগান মেয়েদের মানবাধিকার খর্ব করছে তালিব নীতি। মেয়েদের সাংবিধানিক স্বাধীনতাও কেড়ে নিচ্ছে তালিবরা। অবিলম্বে এই ধরনের নীতি প্রত্যাহার করতে হবে তালিবানকে। এখনও মেয়েদের হাইস্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি তালিবান। সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে নিরাপত্তা পরিষদ (United Nations) বলেছে, শীঘ্রই মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দিতে হবে। কিছুদিন আগেই আফগান মেয়েদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, বাইরে বেরলে হিজাবে মুখ ঢেকে রাখতে হবে। সেই নির্দেশের নিন্দা করেছে রাষ্ট্রসংঘ।
[আরও পড়ুন: দোনবাসে প্রচণ্ড আক্রমণ রুশ ফৌজের, চক্রব্যূহে কোণঠাসা ইউক্রেনীয় বাহিনী]
কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলে এমন নিন্দার মুখে পড়ে পালটা দিয়েছে তালিবান (Taliban)। আফগানিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, নিরাপত্তা পরিষদের বক্তব্য ভিত্তিহীন। আফগান নারীদের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তালিবান সরকার। একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের অধিকাংশ মানুষ ইসলাম ধর্ম মেনে চলেন। তাই সামাজিক ক্ষেত্রে হিজাবের ব্যবহার যুক্তিসঙ্গত।
আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের পরে তালিবান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, নারীশিক্ষায় বাধা দেওয়া হবে না। কিন্তু বাস্তবে সেই কথা রাখেনি তারা। গত মার্চ মাসে মাধ্যমিক স্তরে মেয়েদের স্কুল খোলার কথা ঘোষণা করেও শেষ পর্যন্ত তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তালিবান ক্ষমতায় আসার পরে বহু মহিলা পথে নেমে বিক্ষোভ করেছিলেন। ফলে তাঁদের প্রতি তালিবানের রাগ রয়েছে। তালিবান নেতা সিরাজুদ্দিন হাক্কানি বলেছেন, দুষ্টু মেয়েদের বাড়িতেই থাকতে হবে। অর্থাৎ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে পড়াশোনা করার অনুমতি মিলবে না।