সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি সপ্তাহেই গোটা আফগানিস্তানের (Afghanistan) দখল নিয়েছে তালিবান বাহিনী। রাজধানী কাবুলে ঢুকে নিজেদের পতাকা উড়িয়ে ক্ষমতা কায়েম উদযাপন করেছে। দিন দুই পর সাংবাদিক বৈঠক করে জঙ্গিবাহিনী ঘোষণাও করেছে, দেশ শাসনে তারা ঠিক কোন পথে এগোবে। ‘ইসলামিক এমিরেট আফগানিস্তানে’ (IEA) নতুন সরকার গঠনের লক্ষ্যে দোহায় একাধিকবার সব দলকে নিয়ে ম্যারাথন বৈঠক করেছে। এত কিছুর পরও অবশ্য এখনই সরকার গড়েছে না তালিবান (Taliban)। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, অন্তত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত আফগানিস্তানে কোনও সরকার তৈরি হচ্ছে না।
আফগানিস্তানে তালিবান সরকার গঠন (Govt Formation)স্থগিত থাকবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। এর নেপথ্যেও আমেরিকার অঙ্গুলিহেলন দেখছে আন্তর্জাতিক মহল। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, দোহার বৈঠকে আমেরিকা জানিয়েছে, তাদের সব নাগরিককে আফগানিস্তান থেকে সরানোর জন্য সময় লাগবে। আগস্টের ৩১ তারিখ পর্যন্ত তাদের সময় চাই। তাই তার মধ্যে কোনও সরকার গঠন নয়। শুক্রবার তালিবান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, সেপ্টেম্বরের আগে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকার গড়বে না। ‘ইসলামিক এমিরেট আফগানিস্তানে’র (IEA) নতুন প্রধান হতে চলেছে আবদুল ঘানি বরাদর। পাশাপাশি, তাদের কে কোন দায়িত্ব পাবে, তাও মোটের উপর স্থির করা হয়েছে। নতুন সরকারে হয়ত একদা বন্দুকধারী জেহাদিদেরই দেখা মিলবে।
[আরও পড়ুন: তালিবানি অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে টানা ১০ বছর পুরুষ সেজে ছিলেন এই মহিলা]
তবে আফগানিস্তান দখলে নিয়ে এত উল্লাসের পর কেন হঠাৎ সরকার গঠন পিছিয়ে দেওয়া হল? রিপোর্ট বলছে, দোহার বৈঠকে আমেরিকা (USA) ও তালিবানের মধ্যস্থতা করেছে আনস হাক্কানি নামে এক শীর্ষ নেতা। তার মাধ্যমেই জানা গিয়েছে, তালিবানের থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় চেয়েছে আমেরিকা। তবে কি সত্যিই উভয়ের মধ্যে নতুন করে কোনও চুক্তি হল? এ বিষয়ে অবশ্য স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।
[আরও পড়ুন: কেন পাক সেনার হেফাজতে Taliban শীর্ষনেতা আখুনজাদা? বাড়ছে জল্পনা]
আসলে, আফগানিস্তানের এত বড় সংকটের সময়ও আমেরিকার মতো স্বার্থান্বেষী শক্তি স্রেফ নিজেদের নিরাপত্তার কথাই ভেবেছে। তাই মার্কিন নাগরিকদের সে দেশ থেকে ফিরিয়ে আনা পর্যন্ত তালিবান সরকার গঠন স্থগিত রেখেছে। আর তালিবানেরও এই শর্তে রাজি হওয়ার নিশ্চিত কোনও কারণ আছে। নইলে কেন দেশদখলের পর গোটা মাস সরকার তৈরি করে মসনদে বসার জন্য অপেক্ষা করবে? তবে কি ২০ বছর আফগানভূমে নিরাপত্তার নামে ঘাঁটি গেড়ে বসার পর তালিবান শাসনে দেশের মানুষকে বিপদের মুখে ফেলে রেখে সম্পূর্ণ উদাসীন হয়ে যাচ্ছে বিশ্বের পয়লা নম্বর দেশ? এসব প্রশ্ন উঠছেই।