সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনে (Lockdown) কাজ ছিল না। সংসার চালাতে করতে হয়েছিল ধার। ধীরে ধীরে দেনার পরিমাণও বাড়তে থাকে। আর সেই দেনা শোধ করতেই নিজের ছ’মাসের সদ্যোজাত পুত্রসন্তানকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) সালেমের (Salem) এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় শিশুটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং তাঁর বন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, লকডাউনে আর পাঁচজনের মতো কাজ ছিল না সালেম জেলার লাইনমেদুর বাসিন্দা শওকত আলির। সংসার চালাতে সেদ্দু নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা ধার করেছিলেন তিনি। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই দেনার পরিমাণ বাড়তে থাকে। এরমধ্যেই শওকত আলির স্ত্রী শর্মিলা বানু সন্তানের জন্ম দেন। এদিকে, সেদ্দু নিজের পাওনার জন্য তাগাদা দিতে থাকে। শেষপর্যন্ত ছ’মাসের সন্তানকে বিক্রি করার ব্যাপারেই মনস্থির করেন শওকত।
[আরও পড়ুন: জেলে বসেই কলকাঠি নাড়ছেন লালু! অডিও ক্লিপ প্রকাশ করে অভিযোগ সুশীল মোদির]
এদিকে, সেদ্দুর কথামতো ধাধাগাপট্টির (Dhadhagapatty) বাসিন্দা সুন্দরম নামে নিঃসন্তান এক ব্যক্তির কাছে এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে সদ্যোজাত সন্তানকে বিক্রি করে দেন শওকত। দীর্ঘদিন বিষয়টি চাপা থাকলেও পরে তা সামনে চলে আসে।
মেয়ের পুত্রসন্তান জন্ম দেওয়ার কথা জানতে পেরে তাকে দেখতে আসেন শর্মিলার বাপেরবাড়ির লোকজন। কিন্তু শওকত তাঁদের জানান, শিশুটি মারা গিয়েছে। এতে তাঁদের সন্দেহ হয়। থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। তদন্তে নামে পুলিশ। শওকতকে আটক করে জেরার পরেই বেরিয়ে আসে সত্যিটা। এরপরই শিশুটিকে সুন্দরমের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে শর্মিলার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। আটক করা হয় সেদ্দু, শওকত এবং সুন্দরমকে। তিনজনকেই ১৫ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার নৌকায় মাদক-হাতিয়ার পাচার পাকিস্তানের, ধরল ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী]
এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই অনেকেই অবাক হয়েছেন। নেটিজেনদের কেউ কেউ সমালোচনা করেছেন। কেউ আবার ওই ব্যক্তির পরিস্থিতি বিচার করে সমবেদনা জানিয়েছেন। অনেকে আবার প্রশ্ন তুলেছেন, ‘বাবা হয়ে কি করে কেউ এমন কাজ করতে পারেন?’